সম্পাদকীয়
রবিবার - ২৪ মার্চ
সকালে কথা, প্রায় বলেই না ঝিলম । যন্ত্রের মতো এ ঘরের দু’টো জানলা আর বারান্দার দিকে একটা দরজা খোলে, পর্দা সরায়। খোসা ছাড়ানো চারটে ভেজানো এমন্ড, ত্রিফলা চূর্ণের শিশি, থাইরয়েডের ওষুধ আর জল ভরা তামার বোতল ট্রেতে সাজিয়ে, সাইড টেবিলে রাখে।এ.সির মেইন সুইচটা অফ করে, এ ঘর থেকে চলে যায়। কাপড় ছেড়ে, ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে, পুবমুখো চেয়ারটায় এসে বসেন শমিতা। প্রথম কলিং বাজতেই ঝিলম আবার ঘরে এসে, সদর দরজার চাবি নিয়ে যায়। শমিতা জানেন যে, কে কে এবার পর পর আসবে। প্রথমে রান্নার সুবলা, তারপর একে একে চাবি নিতে গাড়ি ধোয়ার কানাই, খবরের কাগজ দিতে শিব , আর সব শেষে বাসন মাজা - ঝাড়ু মোছার ঝর্ণা। মাথা না ঘুরিয়েও সুগন্ধেই শমিতা বুঝতে পারেন যে, ড্রেসিং টেবিলে রাখা পেতলের থালায়, ধূপটাও ঝিলম মনে করে জ্বালিয়েছে।
কে ডাকছে নদীর ধারে? কে ডাকছে নির্জন দুপুরের উদাসী জানালায়? শূন্যে একটা চিল উড়ে যাচ্ছে। কার বাঁশি বাজছে দূরে । নির্বাক রমণী বসে আছে এলোচুলে। হাওয়ায় দুলছে ছাদের শাড়ি। হঠাৎ কার ভ্রু'র নাচন মনে পড়ে! ভাবনা শুধু বিস্তৃতি চায়। আলো-অন্ধকারে, শূন্যে কাছে দূরে — তার শুধু বলা, না-বলা পাক খায়।
থ্রী ফার্ম লজ এণ্ড আওয়ার কনফার্মড
স্টুপিডিটি
এটা খুব সত্যি কথা, আমরা যারা কৃষিকার্যের সাথে কোনভাবেই জড়িত নই। তাদের আর কেন্দ্র সরকারের আনা নতুন কৃষি আইন নিয়ে মাথাব্যাথার কি আছে? তাই আমরা এই নতুন কৃষি আইনের কোন ধারায় কি লেখা আছে। সেটা পড়ে দেখার দরকার বোধ করি নি। এমন নয় যে, আমরা ইংরেজি ভাষায় কিংবা হিন্দী ভাষায় দক্ষ নই। কারণ ভারতীয় আইন কানুন এই দুটি ভাষাতেই লেখা থাকে। এমনও নয় যে ইনটারনেট খুলে এই আইন তিনটি খুঁজে পাওয়া যায় কি করে, সে বিষয়ে আমরা কিছুই জানি না। না এই সব আসলেই কোন কারণ নয়। আমরা ইচ্ছে করলেই নতুন এই তিনটি কৃষি আইনে ঠিক কি কি লেখা রয়েছে জেনে নিতে পারতাম। কিন্তু আমরা সেটি করি নি। করার দরকারও বোধ করি নি। বরং আমরা চোখ রেখেছি আমাদের নিজস্ব পছন্দের এক একটি টিভি চ্যানেলে। পছন্দের খবরের কাগজের পছন্দের খবরে। যেখান থেকে আমরা জানতে পেরেছি, দেশদ্রোহী কৃষকদের কথা। খালিস্তানী কৃষকদের কথা। পাকিস্তানী কৃষকদের কথা। চীনপন্থী নকশাল কৃষকদের কথা। বিশ্বাস করে নিয়েছি প্রজাতন্ত্র দিবসে লালকেল্লা থেকে কৃষকরা জাতীয় পতাকা নামিয়ে দিয়েছিল। এবং লালকেল্লায় খালিস্তানী পতাকা তুলে দিয়েছিল। না, কোনটা খালিস্তানী পতাকা আর কোনটা নয়। সেটা আমাদের না জানলেও চলবে। দুই বেলা পছন্দের খবরের চ্যানেলের প্রচারিত গপ্প বিশ্বাস করে নিতে পারলেই আমরা দেশপ্রেমী।
'নারী চেতনা'শব্দটি যত কম অক্ষরের, বিষয়ের বিস্তার কিন্তু ততটাই বেশি। সমাজে বিভিন্ন ক্ষেত্রেই নারীরা বঞ্চনার শিকার। সেই কারণেই অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্যে বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন ভাবে কাজ করে চলেছেন। কবি-লেখকরাও তাঁদের কলমের মাধ্যমে লড়াই করেচলেছেন, যে অঞ্চলে আলো পড়েনি সেইখানে বিশেষভাবে আলোকপাতের চেষ্টা করে চলেছেন। এই লড়াইয়ে মহাশ্বেতা দেবীর ভূমিকা অগ্রগণ্য বলা যেতে পারে।
আত্মহত্যার আগে তুমি একবার
আয়নার কাছে নত হয়েছিলে ,
তবু সে তোমাকে কেন পারেনি বোঝাতে
পুনর্জন্ম যায়নি বিফলে ( সুইসাইডাল নোট )
বারবার জলে ও আয়নায় নিজেকে মেলে দিয়েছেন কবি। কেন মেলাতে চেয়েছেন জলের অস্থিরতায়? বৃত্ত ভেঙে ঢেউয়ের ভেতর ঢেউ তুলে নেভাতে চেয়েছেন কি নিজের অন্তরের দাহ ? বিচিত্র ও কুহকে আচ্ছন্ন এই উদ্দীপনা। চূড়ান্ত নিরালম্ব এক অনবস্থার পীড়নে বারবার আক্রান্ত হয়েছে তাঁর চিন্তা ও মেধাবিন্যাস । শিকড়ে জলের ঘ্রান খুঁজে পাওয়ার অদম্য আয়োজন ও মন্থন । নিঃশব্দে পুনর্জন্মের ঈপ্সিত বাসনায় সংক্ষেপিত পরিক্রমা। মৃত্যুর রঙ সাদা না কালো ... প্রাক ইতিহাস থেকে খনন করতে চেয়েছেন তারই দিকভ্রান্ত বিষধর স্মৃতি –
(১)
লোকটার মুখটা ভারী অদ্ভুত রকমের । এমনটা মনে হওয়ার কারণ হয়তো এই যে, লোকটার মুখে এমন কিছু আশ্চর্য অনুভূতি খেলা করছে, যা ভালো করে ঠাহর করলেও যেন বোধগম্য হতে চায় না ! সম্ভবত এমন কিছু বিরল অভিজ্ঞতা লোকটার হয়েছে, যা এই পার্থিব জগতে আমরা আমাদের প্রাত্যহিক অভিজ্ঞতা দিয়ে বুঝে উঠতে পারব না ! হপ্তা দুয়েক হলো লোকটাকে দেখা যাচ্ছে আমাদের এই মফস্বলের যত্রতত্র । কে লোকটা, কোত্থেকে উদয় হল, এ প্রশ্ন অনেকের মনেই জেগেছে । আমি আর মিত্র দা, একই স্কুলে শিক্ষকতা করার সুবাদে ইদানিং বেশ ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েছি । সেই সূত্রে প্রায়ই আমরা সাহিত্য সভা, চলচ্চিত্র উৎসব ইত্যাদিতে একসঙ্গে গিয়ে থাকি । সেদিন হঠাৎ নন্দনে লোকটাকে দেখতে পেয়ে, আমরা দুজনে মিলে তাকে পাকড়াও করলাম ।
[প্রথমেই বলে রাখি এই লেখাটি পরম্পরাগত অধ্যাত্মিক, দর্শন, বিজ্ঞান,যুক্তি,বিচার এইসব দৃষ্টিকোণ দিয়ে পাঠক যেন না পড়েন। একটি অজানা অচেনা পথ দিয়ে হেঁটে যেতে যেতে যেমন পুলক ও বিস্ময় হয়,তেমনি অনুভুতি নিয়ে পড়তে অনুরোধ জানাই। মৃত্যুর সময় হৃদয় শ্বাস মস্তিষ্ক ইত্যাদি দেহের বিপাকীয় অংশগুলি বন্ধ হয়ে যাবার সাত সেকেন্ড পর মন ও প্রাণের ক্রিয়া নিয়ে কাউন্ট ডাউন কাল্পনিক গদ্য ‘নির্বাণ পথ’। মন ও প্রাণশক্তি মৃত্যুর পর কিছুক্ষন শরীরে থাকে, এই বিজ্ঞানপ্রসূত থিয়োরীর প্রেক্ষিতে এই কল্পনা। প্রথম অধ্যায়টি ‘বিচ্যুতি’। সাতটি স্তরে প্রাণশক্তি ও মনোশক্তির দেহের উপস্থ(নিম্নাংশ) থেকে উর্দ্ধমুখ দিয়ে পৃথিবীচ্যুত হয়ে মহাশূন্যে লীন। দ্বিতীয় অধ্যায়টি ‘ষুষুপ্তি’ নিদ্রা বা dormant। এই অংশে পার্থিব প্রাণশক্তির মহাপ্রাণের অথৈ সাগরে বিলীন এবং আবার অভিযোজনের জন্যে পার্থিব জৈব আধারের খোঁজ (ন্যাচারাল সিলেকশন)। তৃতীয় অধ্যায়টি ‘সংযুক্তি’ বা fusion। সেই প্রাণশক্তির দুই অংশের খোঁজ। শুক্রানু ও ডিম্বাণুতে নিষেক,মিলন ও গর্ভে স্থিত হওয়া। প্রথম অধ্যায় ‘বিচ্যুতি’র এটি পঞ্চম পর্ব।]
পাখি এল নীড়ে
পাখির নীড় নির্মাণকৌশলে, উপাদানের বৈচিত্র্যে আকর্ষণীয়। পৃথিবীর ৮৬০০ প্রজাতির পাখির মধ্যে বেশিরভাগই স্বকীয় অনন্যতায় নীড় বাঁধে। সেই নীড়-নির্মাণ, নীড়-পরিচর্যা ইত্যাদি নিয়ে এই প্রবন্ধে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হল।
দুপুরটা মাত্র আড়মোড়া ভাঙছে। তখনও রোদের ঝাঁঝ বেশ তীব্র। শাহানা
তখনও বিছানায় গড়াগড়ি খাচ্ছে। মেক্সিটা হাঁটুর কাছে উঠে এসেছে। মাথার বালিশটা দু’হাঁটুর
ভাঁজে রেখে আর একটু ঘুমানোর চেষ্টা করছে।
কাল রাতে খুব ধকল গেছে। একসাথে দু’জন ঘরে এসেছিলো। এসেই বললো,
- এই মাগী,
আমরা দু’জন, কত নিবি?
- দু’জন
নিমু না। একজন আহেন।
- না, দু’জনই
লওন লাগবো।
- কইলাম তো একজনের বেশি নিমু না।
"ভয় পেয়োনা,ভয় পেয়োনা,তোমায় আমি মারবো না"সুকুমার রায়ের এই কবিতার সাথে আমরা পরিচিত।"ভয়"এই ছোট্ট শব্দটির বিস্তার কিন্তু বিশাল।ভয় জীবজগতের এক স্বাভাবিক অনুভূতি। ভয় পায়নি এমন মানুষ মেলাই ভার।স্বাভাবিক শিশুর বয়েস যখন ছ'সাত মাস তখন থেকেই সে ভয়ের অভিব্যক্তি দেখায়।ভয় মূলত নিরাপত্তাহীনতা থেকেই জন্ম নেয়।বয়েসের পরিণতির সাথে সাথে ভয়ের ধরণও বদলে যায়।ভয় আসলে বাস্তব আর আশা-আকাঙ্ক্ষার মধ্যেকার ফাঁক থেকে জন্ম নেয়।অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে আর সেই অনিশ্চয়তায় আমাদের স্থান সম্পর্কে আমাদের ধারণার অস্পষ্টতা থেকেই জন্ম নেয় ভয়।
প্রবাহে প্রবাহে
নদীর কাছে এলেই আমার ঘাটের কিনারে চুপটি করে বসে সাদা আদ্দির ফ্রক পরা উস্কোখুস্কো চুলের এক দোলনা। দোলে আর দোলে। তার গায়ের ভেতর বেশ গাঁদা ফুলের গন্ধ।মিষ্টি, তীব্র অথচ যাই যাই ভাব। পাশাপাশি বসে থাকি,সে দুলতেই থাকে। পরিচিত জগৎ চরাচরে হৈ হুল্লোড় আসা যাওয়া এক সময় চোখের ভুল বলে মনে হয়। ওর দিকে চেয়ে থাকি। অভিমানে ঠোঁট ফোলায়। দুমুহুর্ত স্থির হয়েই ঝরনা হয়ে ওঠে।
চৌকি থেকে পা ঝুলিয়ে বসে আছি। যদিও মা, বাবা পই পই করে বারণ করেছে এইসময় পা ঝুলিয়ে রাখতে। তবু আমার বেশ লাগে। কুল কুল করে শব্দটা পাচ্ছিলাম, তখন বুঝতে পারছিলাম আসছে। এবার আমার পায়ের পাতা স্পর্শ করল, খেলে বেড়াতে লাগল, আমি জানি এরপর বাড়বে। তবে হাঁটুর কিছুটা নিচেই থেমে যাবে। তখন চলে আসতে পারে খরিস বা কালাচ। পা খানিকে যদি আশ্রয়স্থল ভেবে বসে! আশ্রয়দাতাকে তো কিছু দিতে হয়, তাই না? ও যদি চুমা দেয়? একেবারে খালাস হয়ে যাব। এমনিতেই এখান থেকে স্বাস্থ্যকেন্দ্র যাওয়া বিশাল ব্যাপার। রাতে বিরেতে তো কথাই নেই। খেয়া নির্ভর জীবন যে! তাতে এখন ত্র্যহস্পর্শ যোগ! যাওয়ার কোন ব্যাপারই নেই। আচ্ছা, ত্র্যহস্পর্শ যোগ কথাটা লাগ বুঝে বলতে পারলাম তো! বিপিনবাবু দুঃখ করতেন, “তোরা ইংরেজিটা পারিস না তাই নিয়ে কিছু বলি নে, কিন্তু বাংলাটাও শিখলি না!” বিপিন বাবু শরৎচন্দ্র, বিভূতিভূষণ, তারাশংকর পড়তে বলতেন। টুকটাক পড়েছি। মহেশটা তো বেশ, না! ভালো। অপুর পাঁচালী ভালো, তবে আমার আর দুঃখের বারোমাস্যা ভালো লাগে না। বাঃ, আবার বারোমাস্যা বললাম!
বনজ ঘ্রাণ, আরণ্যক স্নিগ্ধতা, খুনিয়া জঙ্গল ...
অরণ্যের গহীনে যত সেঁধাই, গাঢ়হয়বুনোছায়া।অরণ্য আবাসের গায় লেগে থাকে বন রোমাঞ্চ ঘেরা সবুজ সোহাগ। একফালি বিশ্রাম। কলকাতার দুগ্গাপুজো উৎসব ও ভিড়ে জেরবার সন্ধ্যে-রাত্রিগুলোকেনা-পসন্দ্ জানিয়ে আমরা পুজোর ছুটির দিনগুলোয় পাড়ি জমিয়েছি উত্তরবঙ্গেরজঙ্গলমহলে। উৎসবের ঢাকবাদ্দি রোশনাই থেকে ঢের দূরে। না-ফুরানো সবুজ ঘিরে এক পা এক পা ঢুকে যাচ্ছি বনপথে। পূর্ব অভিজ্ঞতায় টের পাচ্ছি এ পথে একবার আসা মানে বার বার ফিরে যেতে চাওয়া। এই যে বাঙালির একান্ত প্রিয় উৎসব, আনন্দ, ভিড়ভাট্টা থেকে দূরে, ‘দুয়ার’ হতে অদূরে – কোনও নিপাট অরণ্য ভ্রমণ, এই অনুভব কেবল সমমনস্ক পর্যটক মাত্রই অনুধাবন করতে পারবেন। যারা নিরালা নিরুচ্চার অন্য হাতড়ে চলে যান ‘দূরে কোথাও দূরে দূরে’।
কবিতার জন্ম হয় অন্তত দু’বার| প্রথমবারের মা হলেন অবশ্যই কবি স্বয়ং| দ্বিতীয় মা পাঠক|
প্রবন্ধ-টবন্ধ বড্ডো ভারি কথা, গম্ভীর কথা, অধ্যাপকের বক্তৃতার মতো রসকষহীন – ভীষণ সিরিয়াস সিরিয়াস ব্যাপার - আমার ওসব আবার ঠিক আসেনা| আমি নিছক বাউণ্ডুলে অগোছালো আড্ডাবাজ মানুষ –
জ্ঞানরবি
ভেন্টিলেটরের জাফরির বেশিরভাগ ফাঁক মাকড়সার জাল আর ঝুলে বন্ধ। তবু তারই একটা ছিদ্রপথে প্রথম সূর্যের সুতীক্ষ্ণ ফলা সোজা চোখে এসে বিঁধছে। চোখ মেলতেই রাতজাগা চোখদুটো ঝলসে গেল।পোস্টমাস্টার
১.
আমার
মাতৃভাষায় ঘনিয়ে উঠছে তমসা
কেমন দরিদ্র হয়ে যাচ্ছি সব দিক থেকে। খণ্ডহারের মতো মনে হয় নিজেকে। খসে পড়ছে সব। ভাষা, আচরণ, সংস্কৃতি, মূল্যবোধ, ভিতরের প্রজ্জ্বলিত শিখা সব নিভে যাচ্ছে একে একে। এরপরই তো ঝড় ওঠে। কেঁপে ওঠে নয় কুঠরি। ফাঁক হয়ে যায় সব। ফাটল বিরাট বিরাট। আর সেই ফাটলে তলিয়ে যাচ্ছে আমাদের লালিত সম্পদ। যে সম্পদ আমরা পেয়েছি উত্তরাধিকারে, বিদ্যাসাগর, রবীন্দ্রনাথ এবং রবীন্দ্র-পরবর্তী কথাসাহিত্যিকদের নিরলস সাধনার ফসল হল আধুনিক বাংলা ভাষা। যা যা যাচ্ছে তাতো একেবারেই চলে যাচ্ছে ধ্বংসের পথে। আর তো ফেরত পাব না! এই যে এত শুনি, পড়ি, দেখি চতুর্দিকে, প্রত্যাশা রাখি না কিছুর তবু ভালো কথা কিংবা ভালো লেখা পড়লেও মনে হয় অনেকখানি পেলাম। কিন্তু ভাষার দুর্দশা ক্রমশ প্রকট। দুর্দশা, দৈন্য তো আছেই, সঙ্গে আছে ভ্রান্তি, অপসংস্কৃতির উপাদান, পেশি ফোলানো নৈরাজ্যের উদাহরণ আর মাতৃভাষাকে অবহেলা করার সব রকমের প্রলোভন।