সাম্প্রতিক

6/recent/ticker-posts

সঞ্জয় আচার্য:কবিতা

 




দুটি কবিতা



 

মহিমান্বিত নিঃস্ব


আমার একটা নিজস্ব নদী থাকলে ভালো হত। যখন যে মাঠের দরকার ভাড়া দিতাম।

বিনিময় স্রোতে ভেসে যেত অফিস ফাইল পদোন্নতি। খর রৌদ্রের সংসার ভিজিয়ে দুই

পাড়ের উৎকৃষ্ট মানুষ খোঁজা, এক নিরন্তর এঁকে চলা মাইকেল এঞ্জেলোর ভাস্কর্যের

মতো। কিছুতেই ফাইনাল টাচ শেষ হয় না, যেন হাইওয়ের ওপর দিয়ে বিষণ্ন মানচিত্র দেখে

মনে হয় আমার একটা নিজস্ব হাইওয়ে থাকলে ভালো হত। এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যকে

ধার দিতে দিতে বিনিময় করে নিতাম ভাগ্যরেখার দুপাশে এক একটি বিদগ্ধ অবসর। দু

পাল্লা জানলা খুলে ভাঙাচোরা পৃথিবী থেকে নীল আলিঙ্গন, উষ্ণতা আর শীতল, শীতল আর

উষ্ণতা মাপতে মাপতে দূর পাহাড়ের চুড়োয় ওঠা মাত্র ভেবে নিতাম, আমার একটা নিজস্ব

পাহাড় থাকলে ভালো হত। ক্রমাগত পর্যটকদের ধার দিতে দিতে এক মহিমান্বিত নিঃস্ব

হয়ে দুই হাত বাড়াতাম অভ্রভদী শূন্যের দিকে


বিষাদ গন্ধ


কোনও কোনও বিষাদ বেঁচে থাকে পুরোনো তোরঙ্গের সুবাসে

তোরঙ্গ খোলা হলে ছড়িয়ে পড়ে।

আমার ফুসফুসের ভিতর কতকাল সেসব চেনা গন্ধ

ঠিক চোখের ভিতর মায়াবী ঘুম যেমন,

অথবা টুপ করে গড়িয়ে পড়ে একফোঁটা জল

ঊষার মনি কর্নিকার থেকে দূরের বারান্দায়।

আবিষ্ট দেহের ভিতর মাঝরাতে নেমে আসে নিপুণ ঠোঁট

আমি পাথরের যৌবনে নৈঃশব্দ্য জ্বালাই তখন,

সে আলোয় দেখি অনেকটা পথ আমাকে ছুঁয়ে ফেলেছে।

রহস্য থেকে নেমে এসে মুথা ঘাসের সঙ্গে কথা বলি

আর ঘাসের স্পর্শ-সুখ জেনে নেয়,

নষ্ট হতে কতটা বাকি আছে আমার মায়া জীবন।

 








একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ