গুচ্ছ কবিতা
একটি নদী কিংবা খুনির গল্প
১
একটি নদী হাসির তরঙ্গে ভেসে যাচ্ছে –
পাড়ে বসা জোড়া পাখি দেখছে
আকাশে গোলাপি ফুলের রঙ,
চরাচর জুড়ে আমিষ পর্দা নেমে আসা –
কেউই জানতে পারছে না নদীটি আসলে খুনি,
চুপি চুপি গলা টিপে ধরছে
ভবিষ্যৎ সূর্যের
২
একটি নদী হাসির তরঙ্গে ভেসে যাচ্ছে –
কেউ দেখছে না তার ভেসে যাওয়া
জোড়াপাখি পাত্তা দিচ্ছে না নদীর ছেড়ে যাওয়ার বিলাসকে;
কেউই জানতে পারছে না নদীটি আসলে ডাইনি –
হঠাৎ কোন রাতচরা অন্ধকারে বিছানা পেতে নেয়
পাখিদের নির্ঘুম চোখে
এই যে একটা খুনির গল্প দিয়ে শুরু হচ্ছে আমার কবিতা,
এতে কি তুমি স্যাটিসফায়েড হচ্ছ?
অন্যের বেদনাগাছের নীচে
আরামকেদারা পেতেছ তুমি, পাঠ প্রতিক্রিয়া লিখছ!
আর অসম্ভব সন্তর্পণে বেদনাগাছের শেকড় ঢুকে পড়ছে
তোমার ভেতর,
আরামকেদারা ফাটিয়ে –
তুমি ধরতেও পারছো না
এরপর তুমি বেদনাগাছকে উপড়ে ফেলার চেষ্টা করবে জানি –
সফলও হবে। ভাত খাবে রাতে।
মাংস দিয়ে। চেটে পুটে –
তারপর বৌ ঘুমিয়ে পড়লেও তোমার ঘুম আসবে না।
তুমি দেখবে তুমি তোমার প্রিয় বন্ধুর মৃত্যুতে কাতর হয়ে পড়েছ
যে তোমাকে অবিরাম ছায়া দিয়ে গেছে – নিঃশর্ত!
সকালবেলা দাঁতন করার একটি অপ্রিয়
মহানিমকাঠির মতোই
একেকটা মৃত্যু কি এভাবেই দুর্গন্ধ টেনে আনে?
যতটা পঞ্জিকার অপারগতা মাথা উঁচু করে সর্দারি করে!
ঢাক ঢোল সানাই পৈতে – যজ্ঞের আগুনে সেরাতেই পুড়ে ভূত হয়ে গেছে।
বারোমেসে মাংস-ভাতের আবেশ গা সওয়া হয়ে এলে
একেকটা সিগারেট মনে করায়
একেকটা লাশের খাঁজ –
অ
আ
ক
খ-এর মতো প্রেমিকারা আঙুলের ডগায় বেঁচে থাকে,
তাদের শরীরের স্পেশাল অংশটা ভাবতে ভাবতে তুমি রোজ রাতে তৈরি হও
–
তোমার পুরোনো প্রেমিকাদের অভিশাপ তোমাকে
স্যাটিশফ্যাকশন কিনতে দেয় না,
আর একটা খুনি নদী হা হা করে হেসে ওঠে তোমার গাল জুড়ে
0 মন্তব্যসমূহ