অ - কোমলধৈবত - ৪
বিড়ালের গা ঝাড়া জল শান্তিবারি মানি। গল্প
বাজারের মুখে মুখে ঘুরে পুড়ে গেছে। কাতুকুতু চুমুর ফেনা ঘসে স্নান করি। যোনীর
জটাচুল কামাক্ষ্যার গুহায়। প্রবল শ্বাসকষ্ট অ্যান্ড্রয়েডের। রঙের স্রোতে অবশ
স্নায়ু ঝিল্লি মজ্জা। চোখের শ্বেতাংশ বরফনীল রঙে থৈ থৈ। নীল পায়রার জন্য
বিদায়ের গান বরাদ্দ। মায়ানীল আলো ধাতবনীল হাসি পেলে স্থির। মমির কবর ফুঁড়ে সব
চুমু পঙ্গপাল। গুপ্তচরের পকেটেও পঙ্গপাল। শয্যালিপি পথে প্রান্তরে। কেউ পড়ছে।কেউ
পড়ে অন্ধ হয়েছে। দাবার ছকে মন্ত্রীর স্থানে সিঁদুর কৌটো বসেছে। এখন হলুদ রুমাল
সুদূরের পিয়াসী। হলুদ রুমালে বাঘ শান্ত বাঘিনীও। রাহু আর বাহু বাড়িয়ে নেই। কেতু
আর সেতু বানায় না। টাকাপয়সা অনাব্য নদীর পাড়ে ছড়িয়ে থৈ থৈ। ধাপড়ধাই ঝড়ে
প্রক্সিবাজ জোকার মৃত। একদম দেখি না মাগনা ত্রিপান্তরের দিকে। রঙিন কুলো আর
ভরামাসের হাট ফ্রিতে পেলেও। ঘূণধরা অর্কিড যেমন আছে থাক। হৃদয় ভাঙে শঙ্খসোহাগ।
তিমির পেট চিরে সাইকেডেলিক স্রোত ক্রোধের। আগুনের ফ্যালফ্যালানি দৃষ্টি। সাবধানে
থাকি কখনো শিঙেতে না আগুন লাগে। কুয়োসমাজের সঙ্গে মিত্রতা নেই। বিস্মরণ বাঘরোলের
আদুরে দৃষ্টি দেয়। কোমরভাঙা সাপসাপিনীরা উদবিড়ালের উদ্বেগ ও শান্তিজল ধার করে।
হাঁপিয়ে গেলে সাধু সাধু বল একবার।
জলভরা প্রদীপের সলতে জ্বলে। সলতে উস্কে দেবার
লোকজন ঘিরে থাকে প্রদীপকে। ভাঙা বেড়ার গন্ধে বাঘ উল্লসিত। মানবিকতার মুখোশ
পশ্চাদ্দেশে উজ্জ্বল। পরিষেবা দেবার ল্যাটিনমেঘ চর্চা করি।
চাঁদের সমান স্তনের খোঁজে গোয়েন্দা পাঠাই চাঁদে।
যখ এসে হিসেব বগলে ফিরে যায়। এই তোর নাড়িভুড়ি গু-মুতের হিসেব। কোনো চিতার
ক্ষমতা নেই তা পোড়াতে পারে। এই দিচ্ছি এই কেড়ে নিচ্ছি। এই হাড়ি পাতিলে কাঁকড়ার
খরখরানি। বাংলার প্রবাদ গিলে গরু হোঁদল কুতকুতে। চিহ্ন দেখলেই পিছন চেপে বসছি। আর
চামড়া পুড়ছে।
বাল্মিকীর বীণা ওয়েলসে বিক্রি হবার পর থকথকে
স্বাদু মৃত্যুর উদ্দেশ্যে সময় বাড়িয়ে নেওয়া হল।
আজকের সূর্য অস্ত যাচ্ছে শেষ বেঁচে যাওয়া
কন্ডোমটির গোলাপি আলো ছড়াতে ছড়াতে। বনবাসের সময়ে আমার ঘোড়ার তিনটে পা ছিল।
তোমার হিসেবের ঘোড়ার পাঁচটা পা হল। আনন্দবর্ধনের ভিটের বিড়ালের উপবীত ছিনিয়ে
নেবার দুঃসাহসে হাতে পাই কারাগারের মিনিয়েচার। এখন আছি গালাপাগোল দ্বীপে। ড্রোনের
কাছে দীক্ষিত খুলি।
বইপাখি আর পাখিবই মেলা শেষে সন্ধিপূজা করে। ঘাম আর
শিশিরের মিলনেচ্ছা। কোদালের সঙ্গে পা ও কপালের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। হ্যামকে চড়া
পাখিরা হ্যামকের দোল থামাল। আমাদের বহন করে ঘসাকাচের শবযান দেবযান গর্জনকারী হ্যাপি
ভ্যালেন্টাইনস।
0 মন্তব্যসমূহ