পিস্তলস্তব্ধ আগন্তুক
এক
কাটা মাংসের অভিনয় থেকেই
হয়তো এই উপাসনাগুলোর শুরু
আর পুনরুক্তির সব রঙ ফিরে যাচ্ছে কাটা মাংসেই
হাঙরের দাঁতে চিরে যা কিছু প্রশান্তি
ফুলে ওঠা সমুদ্র জানাচ্ছে
মৃত মাছকে বাজাচ্ছে যে রাত তার সমাধির জং-সহ
মৃত মাছের আত্মায়
রূপসার কাটা স্তনে আমার দোনলা-বাড়ি
শব্দের গুড়মে ঢেকে যায়
দুই
খেলাঘরগুলো প্রশ্নাতীত খেলাঘরই হয়ে উঠুক
আর চাতালের মোম থেকে পুনর্বার
নিজেকেই গড়ে নেয় আফেন্দি
বাজনার যে-যে অংশে অবিকল নিজেই বাজনামাত্র
টিপ্পনীহীন লাল দাগে রুদ্ধশ্বাস নিজেকে পড়াচ্ছে
তিন
অপেক্ষার সাতহাজার বছর পর
শেষ ছায়াগুলোর ওপর নিজের হস্তাক্ষর
রেখে দেয় আফেন্দি
পর্দা সরিয়ে রাখা শূন্য রূপসার কাঠামোকেই
জ্বালিয়ে গেল ছ-কোটিবছর
হারানো শুশুকগুচ্ছ জলের আবছায়া পিঠে
কোথায় যে পৌঁছায়
ব্যাটারি ফুরোনো চাঁদে মেয়েদের কাটা স্তন
ভ্রমণের পার্বত্য নিয়ে বসে
চার
আর জাহাজ ফিরে যাচ্ছে যখন
পিছলে যাওয়া ঘুমটুকু শূন্যের আরামচেয়ার
মরুভূমির টুকে রাখা কয়েকশো ফার্লং নীচের ভাববাদ
ওপরের মাইল ক-হাজার মেরামত করছে
আফেন্দির মমির নিশ্বাস
পাঁচ
মস্ত লাল আঙুরখেতে কোমর দোলাচ্ছে হেলেসাপ
তার খোড়ো ছায়া দিনের ইস্পাতে গলে যায়
এই বিকলন আফেন্দির হাড়ের শূন্যের বাসাঘর
চাঁদের নৌটঙ্কিও খুব কাঁচুলির প্লাস্টিক ফুলিয়ে
পিঁপড়ের পায়ে পায়ে দাানার মশকরার এই যে সূর্যাস্ত
কামানের হাসির সন্ধে ফাঁকা আওয়াজের
বর্বরতা দেগে যায়
ছয়
চৌকো হয়ে যাওয়া ঘুমে বুড়ো দর্জির মেশিন চলছে
কতবছরের ফুরোনো আগুন থেকে
ফুল ফোটার শব্দও চমকায়
রানসেলাইয়ের দাগে ভড়কে যাওয়া সুতোর আকাশ
রূপসার পিছলানো ডাকে আমার ক্রাচই
পৌঁছেছিল মাত্র
কত মাংসরঙিন কোণ
আর গর্তের চর্বি থেকে ঘষটানো মুখের টিউলিপ
রূপসাদের দুর্গে আমর কাটা পা গুছিয়ে রাখার
কোনো সংস্থানই ছিল না
0 মন্তব্যসমূহ