সম্পাদকীয়
এমন এক যুগের প্রবর্তন হলো, সমাজ যেন নিজে নিজেই অচ্ছুত্ হয়ে গেল। জীবন বিষাণু দূষিত। যখন তখন প্রিয়জনের প্রিয় সাহিত্যিকের অকাল বিয়োগ জানতে পারছি এই সোশ্যাল মিডিয়ায়। মৃত্যু এখন পরিসংখ্যান। হ্যাঁ, অনেক প্রতিকূলতা আছে যা আমাদের কাজের ক্ষেত্রে পজিটিভিটি বা সক্রিয়তা বৃদ্ধি করে । কিন্তু আতঙ্ক বা ভয় সেক্ষেত্রে কিছুটা পিছিয়েই দেয়। আসলে কাজের ঘরে আলো নিভিয়ে দেয়।
বিগত এক বছর ধরে সম্পাদকীয় লেখার সময়ে ভেবেছি অতিমারি বিষয়ে একটি শব্দও খরচ করব না। অথচ ঐ বিষয়টি কেমন জাপটে ধরে আছে আমাদের। ক্রমশ হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়ছি। আর তার থেকে আমরা অনেকেই ডিপ্রেশনের মতো মানসিক ব্যাধির শিকার হচ্ছি। কাজের প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছি। কিন্তু লক্ষ্যচ্যুত হলে তো হবে না । ভিতরের লড়াইটা জারি রাখতে হবে।