ভিষণভাব নেয়া ইশারাগুলো
প্রিয় হৃৎপিণ্ড,
প্রতিদিন কথারা মাতলা
নদীকে তন্নিষ্ঠ করছে
সদ্যনিহত পাতার
একাকীত্বে টপ্পা ঠুমরি কটিদেশ পেরিয়েছে
এখন রুদালি গায় বিছানা
বালিশ,আর
দীর্ঘদিনের বদভ্যাস
পার্সের ভিতর থেকে
বেরিয়ে আসে ভিষণভাব নেয়া
ইশারাগুলো
চঞ্চল সংক্রমণ
ধুলিকণায়,তবু
আপনি দেখুন
ধর্মাবতার,বোধহীন হাহাকার আর
চোখের শাসন
অন্ধকারের বনেদিয়ানায়
দেহশক্তি
কস্তুরি-গন্ধ নীলাভ
বৃষ্টি হয়ে ঝরছে
তরলভাবে সাধন-ভজন
মাতলামি করছে ইন্দ্রিয়ের সাথে,আর
হাজার চোখের ম্রিয়মাণ
অহংকার এখনও
বোতামখোলা
আমি উদাসীন
আমার নির্লিপ্ত
অর্গানের মহড়ায় ওৎ পাতে টিমটিমে প্রদীপ
পরাধীন অস্তিত্বের কাঁচ
ভেঙে
অবলুপ্ত চাঁদের রমণীয়
স্পন্দন হাঁটছে,এখন
ত্বক ম্লান আহ্লাদে বুক
চাপে
কাদম্বরী অক্ষর
শরীরে মিশে যাচ্ছে
পুরুষালী অভিযোগ-প্রবাহ
আর
ঝুরো ঝুরোভাবে ভাসমান
সকালগুলো নদীবালির
স্তূপ
আমার উলটো পিঠে
যাত্রাপথ আর
তোয়াক্কা না করা উষ্ণতা
বুঁদ বুঁদ হয়ে মাতাল
সুবাস ভূমিকাহীন
অন্ধকারের মধ্যে সমতল
চলেছে
চোখের জল থেকে উঠে আসো
তুমি
আমার সক্রেটিস সন্ধানে
শুধুই হেমলক আর
ছিঁড়ে খুঁড়ে বেরিয়ে আসে
অচেনা ব্যঞ্জনবর্ণ
মননের নির্মম ক্ষরণের
সাথে মধ্যবর্তী সম্পর্ক
ভেসে যায় কাগজের নৌকা
আমি আত্মার কিনারায়
সংগঠিত
স্বাধীন নীরবতাটুকুও
অসহ্য উত্তপ্ত তবুও
ঘুমের ভিতর ক্রমশ ডুব
দিই
মজা পাই দরদী নজরে
চক্রাকারে নিজের
ক্রিয়াপদের বাস্তুতে
পিষে পিষে তীর্যক কেলাস
হই আর
তুমি গোত্র বিবর্তন করে
আবার
নির্মাণ করো কাদম্বরী
অক্ষর...
ওম মণি পদ্মে হুং...
সম্পর্কের ভিতর থেকে
প্রশাসন
সুসভ্য রাস্তায় নেমেছে
গাঢ় হয়ে,এদিকে
আকাশে বৈশাখ ভরপুর
পোয়াতি
পিঠে তাকাও
চাঁদ,ম্যানিফেস্টোর অভিযোগ
মিছিলের পাশে
ব্যার্থতায় বসে,অথচ
নাগচম্পার পাগলামি করা
খুশবু
খুল্লামখুল্লা টিটিকিরি
খাচ্ছে উদাসীন পৌর হ্যাংলামো
বিবস্ত্র রাগী রাগী
চোখে রাহুগ্রস্ত নজর,আর
তন্দ্রাচ্ছন্ন
জ্যোৎস্না
এসো,কথাগুলো অনুবাদ করে
নিই
ছাইমাজা জটিলতা মুগ্ধ
নহবতে হারিয়ে যেতে পারে,
আমি কিচ্ছু বলতে পারবো
না,কীভাবে
অনুসরণের বিভোরে দুদণ্ড
নশ্বর হয়ে উঠি,তুমি
শরীরের নোঙর বেনারসিতে
সমর্পণ করো,দেখো
ঘনীভূত বাতাসে রয়েছে ওম
মণি পদ্মে হুং...
--------------------------------------
ছবি ঋণ: গুগল
1 মন্তব্যসমূহ
অসাধারণ
উত্তরমুছুন