গরম রক্তের গল্প
শিশুর ঠোঁটে কোমল মায়া সূর্য মাখে ভোর
তখনও প্রার্থনা কাল একবার ও দেখেনি ঈশ্বরের মুখ
আশ্চর্য হিরন্য সময় জানে এখন সময় বসুন্ধরা স্নান
বাবার হাতের ছোঁয়ায় জেগে ওঠে গাছেদের ফুল কুঁড়ি মুখ
মায়ের পা ছুঁয়ে মাটি ও মিশে গেছে আত্মার অমৃতে
কপাল ভিজেছে হিমেল চন্দন স্পর্শ কুয়াশা হাওয়ায়।
শরীর শুধরে বাঁচো বলেছিল মাটির মানুষ
অমৃতের অপেক্ষায় থমকে এখন বহুতর স্থপতির মুখ
বন দোয়েল বসন্তবৌরি খুনসুটি দেখেছিল জোড়া শালিক
সকল প্রাচীন শব্দ জড়িয়ে সংসারে শ্যাওলায় শেকড়ে
বর্ষা মুখে ঠোঁটে চোখে কেঁপে ওঠে জলতরঙ্গ সুর
আঁচলে জড়িয়ে রক্ত নাড়ি টান জানে নীরব কথাকলি।
লাঙ্গল জমির সিঁথি জানে আচট মাটির অঙ্কুর গন্ধ
অদৃশ্য স্রোতের মন্থন নদী জলে মানুষের ক্ষেতে
হাতে হাতে গড়ে তোলে ভাষাময় শব্দ মিনার
ক'জনই বা বোঝে সে আঁচল আড়ালে বাঁচে সকল আত্মার সম্মান
প্রতি ঘরেই থাকে পুরনো প্রবাদ যত অন্ধ কুঠুরি
জবা রক্ত অমৃত সুধা জানে নীল সাদা অপরাজিতা
কাপালিক দরজায় দাঁড়িয়ে গরম রক্তের গল্প শোনায়
আর জন্মের আকাশ প্রদীপ জ্বালায় নতুন সৃষ্টির মানুষ।
পালক ফুল
সকল ঘরের দেয়াল জুড়ে রঙ বেরঙের আঁচড়
মরমি প্রজাপতি পরাগ রেনু ভেবে ঠোক্করে ফিরে গেছে
রাতের জোনাকি বেপথু পাড়ায় রাত পাখিও ঘর পরী পুরুষ
বেল যুঁই কুন্দ নন্দিনী নিজেরা জেনেছে জাত ধর্ম বর্ণ গন্ধ ময়
নদী জানে জীবনের স্রোত শরীরে জোয়ার কাল
চূর্ণ কথামালায় উদাসী সন্ন্যাসী আগলে ভস্মাধার।
জল মাটি কৃষক কিষাণী জানে ঈশ্বর জেগে বোরো ধান শিষে
পোড়া সময়ের আড্ডায় মশগুল নতুন মন্দির মাচান গল্প
থমকে থাকা শ্বাসবায়ু বুঝেছে অমিল অক্সিজেন
গ্রামের মধ্যিখানে আমুদে জলসায় যে যার মনের গল্প শোনে
ঘরনি বোঝে তার কোঁচড়ে লুকিয়ে অনন্ত সুখের বরণ
সন্ন্যাসী জানে হায় বোধি কাল উজ্জ্বল সিঁথি আর কতকাল।
সত্য সুন্দর সৃষ্টি সুখ শুয়ে আছে ধুতুরা বিলাসে
ছলকানো সময় এখন নিবিড় আলাপ মুখোশের তলে
সুখ কাল স্মৃতি ময় ঘরকন্না ভাষালাপ পড়শী উজান কথা
চন্দ্র সূর্য গ্রহ ফেরতা মানুষ জানে স্তাবক পরকীয়া সন্তান সন্ততি
একই মুকুট থাকে পালক ফুলে গোপন কথা সাজানো মণ্ডপে
হৃদয় বোঝেনা সবেদন ছলছল চোখ আর আত্মার অবগাহন।
--------------------------------------
ছবি ঋণ: গুগল
0 মন্তব্যসমূহ