মেঘ-বিদ্যুৎ কথা
মেঘবলল, কেন এমন করিস তুই? এত চঞ্চল কেন? কোনো দিন কি স্থির হতে নেই?
খিলখিল হাসে সে।বলে, আমি তো মাঝে মাঝেই স্থির থাকি।দেখতে পাওনা? নাকি দেখতে চাওনা ?
~ কই, চোখে পড়ে না তো?
~ তোমার বুকে আমি স্থির থাকি সবসময়, বুঝতেই পারো না তুমি।
নিজের বুকের মধ্যে জল ছাপ আয়না দেখে মেঘ বোঝে, কথাটা ঠিকই।তার বুকে স্থিরচিত্র হয়ে বসে আছে সে।তারই বুক থেকে জম্ম নেয় এই মেয়ে।
~ কিন্তু এই যে এত লুটোপুটি খাসমাটিতে, আমার বুঝি কষ্ট হয় না? তোকে হারাতে চাইনা যে আমি !
আবার খিলখিল হাসি ছড়িয়ে দেয় সে।হাওয়া-ডানায় তার হাসির রেণু বয়ে চলে দূরান্তে।
যখন বাতাস মেতে ওঠে, চঞ্চল তার ঢেউ ওঠে আকাশ সীমায়, মেঘে-মেঘে জমজমাট প্রেমে
গুরুগুরু ধ্বনি জেগে ওঠে, তখনই সে জন্ম নেয়, বারবার।ছুটে যায় মাটির দিকে।মেঘ তার
জমাট কান্না ঝরিয়ে দেয় গভীর যন্ত্রণায়।সেই অশ্রুনিজের দিকে টেনে নেয় মাটি।
ততক্ষণে তার কন্যা বিদ্যুৎরেখা মিশে গেছে মাটির বুকেই।আর মাটির উষ্ণতা পেয়ে আবার
ফিরে যায় মেঘ।আকাশের ঠিকানায়।বিদ্যুৎকন্যার জন্ম দিতে ইহবে তাকে, আবার আবার
…
যুগান্তর মিত্র