সাম্প্রতিক

6/recent/ticker-posts

সুকৃতি সিকদার:কবিতা

 

দুটি কবিতা


রসায়নগার


  

যদি দাও সিংহের গুহাও উপহার

বেজি তবু তার গায়ে সুড়ঙ্গ খুঁজবে।

এমনই মহিমা নিয়ে তারা

কে জানে কতটা দূর বেজিংয়ের থেকে!

 

তারাদের বিশ্বাসের জোরে ফুটে আছে

অলস আকাশ

অন্ধকার আয়তনের উপর, একা।

 

এসময় শেয়ালের নাকের উপর

নিরীহ জোনাকি বসে বিরক্তি ছড়ায়,

পথের দুপাশে রত বৃক্ষগুলি রাতের প্রহরে

ঝুঁকে এসে বিনিময় করে সেই আলো

যা ছিল জমায়ে রাখা দিনে।

 

মেঘেদের আয়ু ঝরে সতত শোধন হয় বায়ু।

ধারণা বেঁকিয়ে লেখা তবু

দাঁড়াতে পারে না।

বসার জায়গা সেও অব্যক্ত, পিছোল

মুক্তোর দাবিতে শেষে ডুবুরির টুটিলে পাইপ

অক্সিজেন কড়কড়ে লাগে।

 

কঠিন তৃষ্ণায় হাতে উঠে আসা বিষও

জল ভেবে ভ্রম হতে পারে

একথা ভ্রমর আজও জানতে পারেনি।





রূপান্তর


 

 

এখনার আগের মতন

উড়তে পারি না!

ভারি লাগে নয়নের সাথেও চরণ।

আমার শরীর তার ডানা

মেলে দিতে পারে না সঠিক

তবুও  শমামি

অস্বীকার করতে অক্ষম

চুম্বকের ডাকের মতন অভিপ্রায়।

 

লোকাল ট্রেনের ভিড় গিলে ছুটে যাই

স্টেশন গুলি হাত দ্যায় বাড়িয়ে তখন

ওদের উপেক্ষা করে বেল চাপি তোমার দুয়ারে।

 

তুমি খোলো গোপনে আগল!

ফাঁকা ঘর। মুখোমুখি বসিবার টানে

জামার বোতাম খুলি, বেল্ট খুলি কোমরের থেকে।

একে একে মাথা থেকে শুরু করে খুলি,

পাঁজর, ফিমার, ব়্যাডিয়াস গুলি

হিউমেরাসের সাথে তুলে রাখি তোমার ওয়ালে।

 




একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ