অক্ষরের
ওপর বসাই নানা কষ্টের ভঙ্গিমা, বাংলায় লিখি শিশির কাব্যার যতি
মানুষের
পাঁজর ভেঙেছে বহুমাত্রা-
বহুমাত্রিক
আশ্রয়ে আশ্রয় পায় ক্রিয়াপদ কত যোগবিয়োগের প্রাণ গরল গিলেছে
এই
গৃহ , মাত্রা চায় গরম বাষ্পের, এককথায় প্রকাশ করি ঋতুবৈচিত্রর খন্ডচিত্র,
উপনয়নের
অক্ষর বসে ভিক্ষা চায় ভিক্ষুকের বেশে অমাবস্যা আসে পূর্ণিমার জন্য
এই
আলো বুঝি ? একাদশী জানে তার নিজস্ব মাহাত্ত্ব্য , তাই আমি যুক্ত করি
শ্রী-শব্দের
ধ্বনি কত শ্রীমান শ্রীযুক্ত কত শ্রীময়ী শ্রীমতী বর্ণ পরিচয়ের দ্বিতীয়ভাগে,
নিমন্ত্রণ পত্র ছাপা হলে চব্যচোষ্যলেহ্যপেয় উচ্চারিত হয় কি বলব!
জানালার
পাশে হাওয়ায় হাওয়ায় নিশ্চিন্ত এক আশ্রয় পেয়েছে।
ইংরেজি
মাধ্যম ঘরে বাংলার ঝক ঝকে বাসন চিহ্নের জন্য কত আলপথে যুক্তচিহ্ন
শুকোচ্ছে
তারার উল্কাঘরে, রোদট্যানে অনুচ্ছেদ যার নেই, এক কাপ চা হবে না বলেছি
তখন
এমন শব্দ আসে ভূমিকার অধিবাস হয়।ঢগঢগ জল খায় অক্ষর মালার লিপি
পিছনে
ডাকাত নেই বলে ফ্লাওয়ারস্মেল জ্যোৎস্নায় আসে ।
একস্বর
অন্যস্বরে অর্থ পায় সম্মানীয় পারিশ্রমিক একার মাত্র । বাঁচা মরা এক শব্দ
বাংলার
জন্য চিরকাল গর্বিত এমন যার মা শব্দেই গদ্যের সত্যি ছায়া নামতা্র।
বহু
বিভক্তিতে তার উচ্চারণ বদলাবে না আমি যে তারি মা আর মেয়ে আমার বাংলা ঘর ।
খুব
আদরের জন্য এই যুক্তাক্ষর যুক্ত হয়েছে
বাংলায় । এই যে বাংলারকবি বিশ্বসেরা
সেই
দেশে রণ ক্লান্ত দিন আর-নয় ।
বাংলা
আমার মায়ের ভাষা বাংলা আমার মায়ের দেশ ।