আলোযাত্রা
আনন্দরশ্মি
এবং বিচক্ষণবৃক্ষসমূহ
ভীষণ বাজনা
বাজছে আকাশে
ধবলপাখির
যাওয়া আসা, ভাতের
পাত্রে
নক্ষত্রের
দানা, ধিকিধিকি ফুলের সুবাস
আমার বেঁচে
ওঠার সময় ভিক্ষা চাই
আমাকে দাও!
মজ্জায় শুয়ে আছে ঘুণ
ধুলোকে ঘিরে
ধরে বিষাক্ত হুল্লোড়
সন্তানের মুখ
দেখে ফিরছি, হাওয়ায়
নবজন্মের
দিকে, মাটিতে জীবন বাজি রেখে
এই তো বাঁচার
চূড়ান্ত আকুতি
আজ জোৎস্না
ফুটেছে রাতে অন্তিমভোরে
আমাকে চলে
যেতে হবে রাস্তা পেরিয়ে
অনুনয় অথচ অট্টহাস
চন্দ্ররাত
অথচ হিমাদ্রির মতো তুমি হাঁটুগেড়ে জীবন লিখছ
আঁকিবুঁকি কাটতে কাটতে পাতার পর পাতা তুমি
জ্বালিয়ে দিয়েছ নিজেরই হিতাংশু-ছায়া নক্ষত্রতাপে,
দু’টুকরো হেমন্ত ধরে আছো আঙুলের ডগায় অবিরত
বাঁচার জন্য সামান্য মাটি, তপকুসুম, রতিশান্তভোর।
অনন্তনিঝুম এই মুক্তিধ্যান। নরম আঠালো সূর্যের কাছে
ঠোঁট রেখে পিপাসা নিচ্ছ। সমস্ত চত্বর ধুলোয় পূর্ণ!
কার কাছে ছায়ার মতো উঠে দাঁড়াবে তুমি বলো?
হাত জোড় করে উলঙ্গ করছ নিজেকে! সর্বস্ব খুইয়ে দিয়ে
হেঁট হয়ে বসে আছ গঙ্গার ওপর, নীচে
স্খলনকারীপ্রপাত
চারিদিকে তন্দ্রাঘন শুধুই অট্টহাস
2 মন্তব্যসমূহ
খুব ভালো লাগলো লেখা 🙏
উত্তরমুছুনধন্যবাদ ধন্যবাদ
মুছুন