গুচ্ছ কবিতা
ফাঁকি
পূর্বাচলের
দিকে চোখ রেখে তিনি দেখছেন
ডানা মেলে
উড়ে যাওয়া
একটুকরো আলো
ক্রমশ
অস্তাচলগামী
হতে
হতে
কিভাবে
মিলিয়ে যাচ্ছে সায়াহ্নে
নিস্তরঙ্গ
লংপ্লেইং
বিরহ আর
দহনজ্বালা উগরে দিচ্ছে
শেষ বোশেখের
খাঁ খাঁ বেলায়
পোষা গীতবিতানের
পাতা খুলে
দিগন্তের এক
প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে
ঘুরে বেড়ানো
এখন শুধু সুর ভুলে
রাজা
বনকলমির ডগায়
সামান্য রোদ্দুর
ধীরে ধীরে
চোখ মেলছে
সবেমাত্র
ভাঁজ করে রাখা
ছিন্নপত্রাবলীর
পাতায়
দূরে মাছরাঙা
নির্ভুল
শিকারের দিকে অপলক
দৃশ্যের মাঝবরাবর
নিজের দীর্ঘায়িত ছায়া
দেখার জন্যে
থমকে দাঁড়ালেন তিনি
অপরিসর
জোব্বার আড়াল ভেঙে
ওই যে, বাহির পথে হেঁটে যাচ্ছেন আমাদের ঈশ্বর
ভার
ঘরে এক-পা, অন্যটা বাইরে
নিজেকে
এভাবেই বাঁধা
চেনা
না-চেনার চৌমুহনী ছাড়িয়ে
অন্ধকারের
মুন্সীয়ানায়
রাত্রির
উতরোলে আপনিও কি
এরকম
ভেসেছিলেন স্যার
মহুলবনের
দিকভোলা হাওয়ায়
কু-কথার
আধসিদ্ধ মাংস
আর হাড়গুলো
চিবোতে চিবোতে
কুয়াশাজীবনের
দিকে যেতে
দ্রষ্ট্রী
সামরিক
অভিযান আর দড়ি টানাটানি
এতোসব
নঞর্থকের মধ্যেও
দুখপসরার
বাতিগুলো
একে একে
জ্বেলে যাচ্ছেন
অদিতি মহসিন
অবিন্যস্ত
চুল
পেডেস্টাল
থেকে উড়ে আসা
হাওয়াদের
সন্ত্রাসও
কিছু কম নয়
সেখানে
অর্ধনীমিলিত
চোখে তিনি দেখছেন
ভীমপলশ্রীর
অপসৃয়মান সবুজ
আস্তে আস্তে
কেমন ঢেকে দিচ্ছে
ধূসর জীবনের
গোধূলি
খেলা
মন কেমন করা
এই দিন
বহুলাংশে
আকাশও
একরাশ বিরক্তিতে
মুখ ফিরিয়ে
টাটকা রোদের
গা ঘেঁষা এই দৃশ্যে আবারও তিনি
সুরের উতরোল
শেষপর্যন্ত কোন রঙের অছিলায়
দেখার কৌতূহল
নিয়ে
সরাসরি
নিভৃত মনের
চোরাকুঠুরিতে
পরবর্তী
এপিসোডের মিনিট তিনেক আগে
সাময়িক এই
বিরতিটুকুই আপাতত
কনকচাঁপাদের
খোঁপা হয়ে ওঠা
0 মন্তব্যসমূহ