অলীক ভ্রমণ-৬
অনেক দিনের
পুরোনো তোরঙ্গের ভিতর থেকে জেগে উঠছে বিস্ময় । বন্ধুহীনতার যুগে মনে হয় একা একা
চলে যাই পাহাড়-বিজন প্রান্তে। মনে হয়, এই তো সেদিন কতো
জ্যোৎস্না ছিল...ভালোরঙের আদর ছিল শরীর জুড়ে...এই অন্ধকার, এই
নির্জন নিশি...অনেক পুরোনো কথারা আজ তোরঙ্গ থেকে একে একে বেরিয়ে আসছে পাথুরে
আক্রোশে কিংবা হতাশায়। এই অকিঞ্চিৎকর লেখকের দিকে তাক করেছে বল্লম, স্মৃতিমগ্ন
বিষ মাখানো তীর । আমাদের বুঝি মৃত্যু নেই। হা-মুখ খিদে নিয়ে চলে যাচ্ছে চতুর এবং
আহত শেয়াল। আকণ্ঠ বিষ্ময় মেশানো অন্ধকারে আমি চুপিচুপি নেমে যেতে চাইছি দূরবর্তী
অচেনা স্টেশন...পাহাড়ি পাকদন্ডী পথে হাঁটছি একাই। জানি ক্লান্তিকর এই পথ চলা শেষে
দেখা হবে সেই নদী-জল-ঝরনার সাথে। ছোট্ট একটা মন্দির নিশ্চয় থাকবে কোথাও...
অলীক ভ্রমণ-৭
নিজেকে খুব বুদ্ধিমান ভেবেছিলে? অথবা
খুব বিষণ্ন প্রেমিক। আজ শুধু বিপন্ন সময়ে লেখা থাকছে পরাজয় আর গ্লানি। অপমান
গাঁথা। আদিতম হিংস্র কান্নার শব্দ। দূরে কোনো বাঁশি নেই। আশ্রয় নেই। ফাঁদ আছে রঙিন
সুতো দিয়ে বোনা। তোমাকে যেতে হবে অতি দূর নির্জন প্রদেশে একা। তোমার একজন ঈশ্বর
চাই। সাধন-ভজন খুব দরকার। কান্নার পাত্র জুড়ে যে পূর্ব ইতিহাস লিখে রেখে গেলে, যে
সংসার-সমুদ্র গহন...মুক্তি নেই। আকুল বিষ্ময়ে দেখলে দিন শেষ হয়ে গেল। দেখলে তোমার
অপেক্ষায় কেউ নেই, কিছু নেই। শরৎ-নিশি জুড়ে কুয়াশা নয়, বিন্দুবৎ
স্মৃতি ঝরে যায়।আর তুমি ক্রমশ পুরোনো বাড়ির মতো স্থির, কুড়িয়ে
কাছিয়ে রেখে দিচ্ছ যত্ন করে নোনাধরা যত স্মৃতিমাখা গাছ।
0 মন্তব্যসমূহ