সাম্প্রতিক

6/recent/ticker-posts

পার্থজিৎ চন্দ






দুটি কবিতা


কোনারক, ২০১৮

বালি-লেগুনের কাছে কাজুবন কাঠের হরিণ এপ্রিলের শেষ আলো
মুছে আসছে কে কাকে শেষবার ছেড়ে চলে যাবে
এ প্রশ্নের কাছে দাঁড়িয়ে রয়েছে বালুতট ও শেষ পর্যটক
পাথরের নিঃসঙ্গ জেটি প্রবেশ করার পর সহ্য কর জলের ঝাপটনুন
আর্দ্র মোহনা থেকে কালো ছায়া হেঁটে হেঁটে বহুদূর যাবে, একা
রক্তমাখা বালি, জেগে উঠবে সান্ধ্যপ্রশ্ন
এ কোন গর্ভগৃহের কাছে বারবার টেনে নিয়ে আসা!
পাথর-দরজা ঘেরা... যার পেটের ভেতর অবলুন্ঠিত শিখা নেই

শুধু শূন্যতার বালি দিয়ে ঠাসা

পথ

জলের ঝাপটে কেঁপে উঠেছিল স্লুইস-ঝালর। তারও পর পথ ছিল
অভ্রখনি পাশে রেখে ট্র্যাক্টরের চলে যাওয়া চাকা, আমি
গল্প কুড়াচ্ছিলাম, কুড়াচ্ছিলাম মাছেদের আর্তনাদ, ছায়াপথে তারাদের গান
পাঠোদ্ধার করছিলাম বৌদ্ধ-পতাকার। মৌল আবিষ্কার 
আমার কাছেই এসে খুলে দিয়েছিল খনিমুখ, বলেছিল মাইকা মাইনে 
তমসা পাবে না। সারারাত অসহ্য জোনাকি হয়ে কী যেন জ্বলবে
খনির ভেতর কবরে শ্মশানে। আমি হেঁটে হেঁটে গড়াতে গড়াতে
ফিরেছি রক্তাক্ত দেহে। তোমার দরজা-দেওয়া হাতদুটো ধরে 
বলতে চেয়েছি খুলে রাখো দ্বার। এই ফিরে আসা এবার সম্পূর্ণ হবে

পেরিয়ে এলাম যে পথ সে পথ আমার ঈশ্বর


 পার্থজিৎ চন্দ