সাম্প্রতিক

6/recent/ticker-posts

দেবযানী বসু:কবিতা

 



গুচ্ছ কবিতা


১.

জুম চাষের উড়ান

যেমন করে গাইছে আকাশ পঞ্চসায়রের বুকে
করুণাঘন মেঘ স্মিত হাস্য
নাকের ডগাটুকু কেটে নিয়ে বিমান উড়ে যাচ্ছে
শাটার স্পিড ধরতে পারে নি তাকে
ওদের রূপকথায় প্রাচীন তরবারি বিশেষ একদিন জেগে ওঠে
নীল ভায়োলেটের স্তূপকবরে রাজার বৌ
পঞ্চতারার সৌরভ বাতাসে
বজ্রযোনী ও বজ্রলিঙ্গের স্থিতিশীল আকাশ নেমে আসত গুমঘরে
রূপটানের রাজ্য
বজ্রাসনে বসলেই টানা টানা চোখের অদ্ভুত টান চোখে পড়ে
মেঘের রঙখেলা সমতাপের মমতায় ।
এই রঙ খেলা অভিজাত ত্বক মনে রেখেছে।
উড়ানের মুখস্থ জুমচাষে হেলান দিয়ে রোদ্দুর মাখি।

২. 

শকটিনী মানবী

মাটির গাড়ি চলাচলের নিচেও এক পথ
খাবলাখুবলে পথের মাটি খাই বিশ্বস্ত শ্বদন্ত দিয়ে
গ্ৰহাণুদের মারকুটে শব্দমালা নিয়ে বসে আছি
শব্দাণু শব্দাণুর বিরুদ্ধে লড়ছে
পাথরের ধীরগতি থেকে তুলে নিচ্ছে বাচ্চারা লিঙ্গের জোকার শিঙাটি
শিঙাশাসনের ফলে চত্বর উৎসবমুখর
উদারাপঞ্চম ডমরুবোল
মালঞ্চের অতিথিরা মেঘবপু খালি ঢুলছে
  ঢুলেই যাচ্ছে।
অফিসের গানগাওয়া সিঁড়িরা বারান্দার বুগেনভিলিয়া হাসি চুরি করে
অথচ চুরিতে চুরিতে কত পার্থক্য।
নিসর্গদৃশ্য খুললে চুরির স্বচ্ছতা দেখবে স্বমনের আপাদমস্তক
ব্যর্থতা ব্যর্থতায় কত পার্থক্য
মৃত কবিতার খাঁজে খাঁজে মমির রাসায়নিকতা
প্যারালিসিসে ভোগা কবিতারা ইচ্ছামৃত্যু চেয়েছে।

৩. 

অগস্ত্য ও বিয়ার পাহাড় পেরিয়েছে


কিছু কিছু মেঘের নাম বিরহমেঘ। কাজলরঙা গজলরূপা সজলদীপা। কবেকার কালীদাসানুদাস আমি, বরমাল্যের গন্ধে ঘুম ভাঙে, ছোঁয়া লাগলে শিকলও পুড়ে যায়। তপোবন ফিরে এল, কচ ফিরল না। ঘুমভাঙা বালিশটি মাথা ছেড়ে চলে গেছে শাওন আষাঢ় আসার আগে। রিলস গড়িয়ে নামছে আতরদানের সংসারে। ঝালরলেজে আটকে লজেন্স ডিম। কপালে কাপালিক দাবার বোড়ের। গলায় আটকে গেছে ঘড়ি, তবু মিনারটি গান গায়। বাড়ি ফুঁড়ে পার্ক আর গাছগাছালি। সকাল বিকালের শুভত্বের গায়ে বিড়াল লাফিয়ে পড়ে। সময় উল্টে যায়। দেশ তো এমনই। মাতৃদেবী এখন যেন বেশি করে মরা সৈনিক সাজেন। মরণস্রোতের বয়া পোর্ট্রেট এর দিকে আকুলতা ব্যাকুলতা দেয় গা মুচড়িয়ে। গা মানে একসময়ের গাওয়া ঘি, ঘিলুমন, ঘিলুদিল এটসেটরা। দেবীদের নিজস্ব সেতু চিনে ফেলে বলে আগ বাড়িয়ে ফলস পজিশনে না পড়াই ভালো।






 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ