দুটি কবিতা
শুধু আমাকে ছুঁলেই
আমাকে ছুঁলেই তোমার প্রতি রোমকূপে বেজে ওঠে এসরাজ।আমাকে ছুঁলেই তোমার মধ্যবিত্ত শরীর হয়ে ওঠে ছিলা ছেঁড়া ধনুক।শরীরের সমস্ত নদী ঢেউয়ে ঢেউয়ে ফুলে ফেঁপে একাকার।একটা সাপ যেন গুঁড়ি মেরে ঢুকে যেতে চাইছে নিজস্ব কোটরে।হ্যাঁ নিজস্ব কোটর।তোমার সাপ আর আমার কোটর।যুযুধান দুই পক্ষ পরস্পরের কাছে সমর্পণ করার জন্য মরিয়া।ঠিক তখনই কেন ঘুম ভাঙিয়ে দিলে,ঠিক তখনই কেন বুকের ওপর থেকে মুখ তুলে আকাশে চাইলাম আমি।কিছু কিছু সম্পত্তি হাতবদল হয়না কখনো। তুমি আমার ঠিক তেমনই।তুমি ছুঁলেই আস্তে আস্তে মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে যে দানব তাকে তুমি গিলে নাও অদ্ভুত কৌতুকে।প্লিজ।
হারানো প্রাপ্তি নিরুদ্দেশ
তোমার যোনির পাশে
স্বামীহারা মেয়েটির মতো
মাথা রেখে শুয়ে থাকি রোজ।
আহা কি সরল শাদা
যেন জোৎস্না ফুটে আছে
ঘরময় ছড়িয়ে রয়েছে খই
কান পাতি যোনির ভেতর
কুলকুল শব্দ মেখে বয়ে চলে
হাতানিয়া দোয়ানিয়া
পালতোলা নৌকোগুলো
সারি দিয়ে বাণিজ্যে চলেছে
কোলে বাচ্চা আর মাথায় কাঠপালা
মেয়েগুলো নেমে আসে পেশির ওপর
গালে হাত রেখে আমায় জাগায়
বিচিত্র জায়গায় হাত রেখে বলে
ওঠো,চটপট তৈরি হয়ে নাও
নয়তো ঝড় এসে লণ্ডভণ্ড করে দিয়ে যাবে
তখন জীবনানন্দের মতো
বারান্দায় দাঁড়িয়ে দেখবে
কার বউ কতো রাতে কার সাথে ফেরে।
এইসব অর্থহীন কথার মাঝেই
তিনবার জেগে ওঠে যোনি
আমার গালের ওপর ফুটে ওঠা রোম
আমার চোখের পাশে ভেসে থাকা মৃদু অপরাধ ,এইবার জ্বালবে আগুন
স্থিরজলে জেগে ওঠা বিন্দু বিন্দু আলো
এইবার ফিরে পাবে চেনা ত্বক
মুঠোর ভেতর আঁকা সমস্ত জোনাকি।
তোমার যোনির পাশে শুয়ে
এইমাত্র মৃত্যু হলো যার
নৌকোগুলো কিভাবে যে জানে
সৌমিত বসু