গুচ্ছ কবিতা
বাঙালি নারীবাদ ও সিম্যূন দ্যা বেভেয়ার
সন্ধ্যার ক্যাফে বসে অথবা শীততাপ নিয়ন্ত্রিত
সম্মেলন কক্ষে গোলটেবিলে
কথার খৈ ফুটে মেদবহুল রমণীর ঠোঁটে।
সুরার পেয়ালা নেচে ওঠে সাকির সুরে
আদিবাসী মনবন জেগে ওঠে সাংগ্রেইংয়ে
জোসনা রাতে আহত ম্যান্ডোলিনে সুর তুলে নীলকণ্ঠের কবি
পূর্বরাতে মেঘের সুরভি মেখে বৃষ্টিরেণু মুঠোপুরে
বজ্রপাতের উৎস খুঁজি
কবিতার খেরোখাতায় বিগত প্রেমিকারা নারী না মানুষ?
বৃষ্টি ভেজা বুকে ভদকার উষ্ণতায় মস্তিষ্কের অনুরণনে
সিমুন দ্যা বেভেয়ার সুখছবি আঁকি।
শুভ্র পরীর শাসন
সাদা সাদা এপ্রোন জড়িয়ে আসে পরীর দল
মনরাঙা শুভ্র হাসি দেয় সুঁই হাতে
পরিক্ষার নামে কঠিন কোমলে সিরিঞ্জ ভরে
শুষে নেয় খুন।
ধবধবে সাদা পরীরা পথ্য দেয় যথানিয়মে
চোখ রাঙানো শাসন -----তামাকের গন্ধ কেন?
আঙ্কেল জানেন এটা হাসপাতাল?
এখানে ওসব চলবে না,ডাক্তারদের বলে দিব
সাতশত এক নাম্বার কেবিনে যায় না ঢোকা তামাকের গন্ধে।
আহমদ ছফা, আখতারুজ্জামান ইলিয়াসকেও শাসিয়েছ শুভ্র পরীরা
জয়াকে হাত করে ষড়যন্ত্রে মেতে উঠে তারা
আমি ভাবি এমন কঠিন কোমলের শাসন
কৈশোরে পেতাম শব্দ নিয়ে খেলা হতো না আর
তখন আমি হতেম রাষ্ট্রযন্ত্রের দাস।
মনখালী
শৈল-সাগর মিতালী সড়কে যেতে যেতে নগ্নমুরায়
সাগরের উদাসী আহবানে খসে পড়ে
শাড়ি-ব্লাউজ-পেটিকোট হিমছড়ি -রেজু-ইনানীর পাহাড়
দীর্ঘ উপত্যকায় এমন সুন্দর নগ্নতার নাম মেরিন
ড্রাইভ।
নদী ও পাহাড়ের সঙ্গম জলে রেজুর তটরেখা
কামার্ত শ্বেতকপোত বালিহাঁস তেষ্টা মেটাতো
শৈলস্তনে বসে উড়ে যেতো কুদুম গুহায় প্রকৃতির
যোনিতে
মনখালীর বনতলে নীল মেঘ চরম কামার্ততায়
কানারাজার গুহা পেরিয়ে জলসিঁড়ি ভেঙে স্নানে যায় সাগরে।
মনখালীর রূপবতীর তঞ্চগ্যা রমণীর ফলজ মদ
আহা!অপার আনন্দে বুদ্ধের চরণতলে
আমি হারায় ধ্যান।
0 মন্তব্যসমূহ