দুটি কবিতা
যন্ত্রণার রাস্তায়
যন্ত্রণার রাস্তায় তবুও কিছু কিছু ফুলগাছ থাকে
আমি মৃত্যুর দিকে হেঁটে গেলে তারা চেয়ে চেয়ে দ্যাখে
একটু দাঁড়াই
দু একটা চমৎকার ফাঁকা হাসি অবিরাম শূন্যতা আঁকে
দেখতে থাকি
অথচ কিছুই দেখা যায় না
সব উপলব্ধির চাবি কারা নিয়ে চলে গেছে
শেষ রোদটুকু নির্বাণ বাক্যের মতো পড়ে আছে মেঘে
আজ ফুল কুড়াব না আমি
সব মায়াগাছে বসে আছে মায়াপাখি
চেতনার প্রজাপতিগুলিও বিষণ্ণ
আজ তারা উড়তে চাহে না নিষিক্ত আলোকে
হাসপাতালের দিকে
কিছু নীরবতা আমাকে হাসপাতালের দিকে নিয়ে যায়
যদিও কোনও তৃষ্ণার কথা বলিনি কখনও
যদিও গুচ্ছ গুচ্ছ কোঁকড়া চুলের রমণীদের কথা গোপন রেখেছি
মসৃণ ত্বকের কিছু উপমা খুঁজতে খুঁজতে
আমি শুশ্রূষার অভিমুখে দাঁড়াই
আমাকে ভাসিয়ে দিক সময়
আজ কোনও নৌকার কাছে যাব নাকো আমি
ক্রমাগত একটা দ্বীপ, দ্বীপের অরণ্য