দুটি কবিতা
প্রণয়
তাকাও, তাকিয়ে বলো, যে আলো ডুবে
গেছে ,তাকে কিভাবে এতদিন সয়েছো? মিথ্যা
হোক ! তবু অক্ষয়টুকু ? যেন খচখচ করে। আকাশ এবং যোনি ভেঙে
বহুদূর, দলিত উপত্যকা অবধি হেঁটে গেছে গুল্ম। এই কৃষ্ট ঘুম
বাড়তে দিয়ে তুমি কি খুব অন্যায় করেছো ? এখানে সারাটা
গ্রীষ্ম ধেড়ে ইঁদুরগুলো অস্থি খুবলায় আর ওলটপালট করে বেগুনী হিমস্রোত । তুমি আর
আমি একটা একটা করে তরঙ্গ পার করে এসে পৌঁছোলাম সোনালী কাস্পিয়ানের ভেতর। কত দরজা
উড়ে গেছে , জানলার ভেতর থেকে কতকাল শস্যেরা সর্বনাশ দেখেনি, দেখেনি ওমকুন্ডে পিপাসার্ত সাপের গভীরতম স্পন্দন। এই এন্ড্রোজেনিক
মহাবিভ্রমের ভেতর অতীত আচ্ছন্ন ; ভেসে যাচ্ছে আস্ত একটা
আহ্বান , যেন এক মায়াময় দিদৃক্ষা ।
কিন্তু তুমি
ডিম হলে কবে ?
দাও , যাবতীয় ধাতু নিংড়ে শস্য ঢেলে দাও ।
নুন মাখানো
নীলচে শেকড় তার নীরজা সুখ ফুঁড়ে চলে গেলো। আর তুমি ? ডিসেম্বরের শীতে বৃষ্টি তুলে রাখছো লকারে ?
ওয়েব সিরিজ
দেখি রাত জুড়ে । সিগনেচার খেতে চাইলে ওরা আফিম মিশিয়ে দেয় নিভৃতে ।
টের পাই , অতি ভারীত্বের উর্ধে হালকা হয়ে আসা থ্যাতলানো কান্না । টের পাই ।
বেলুন থেকে
এক একটি দলা পাকানো সাপ , জপের
মালা যেন , বেরিয়ে আসছে
ধীর লয়ে , খোলস ছাড়িয়ে , তপোলোকে ।
কিসের
সন্ধানে চোখ ফেটে এতো মৃত ঝড়ে ?
প্রসূত
পানাপুকুরে প্রবোধ ঘুরছে । চারণপথে একটুকরো ছোবল ।
2 মন্তব্যসমূহ
দুর্দান্ত! দীপ্যমান শব্দের উদ্ভাসে যেন কোমলগান্ধারের রণন! প্রথম কবিতাটিতে 'খুবলায়' শব্দটি কবিতার সাপেক্ষে দর্শনগত বিসদৃশ মনে হল। এই কবিতাটি পাঠ করে একটি বিতর্কের উত্তর পাওয়া যায়, কবিতায় গুরুভার শব্দের প্রয়োগ কবিতাকে নাকি অগম্য করে তোলে। কিন্তু এখানে 'দিদৃক্ষা'র মত শব্দ কী অবলীলায় সার্থক হয়ে ওঠে! 'এন্ড্রোজেনিক মহাবিভ্রম' শব্দবন্ধ এই কবিতার সাপেক্ষে নবরূপে প্রতীয়মান হয়ে ওঠে।
উত্তরমুছুনদ্বিতীয় কবিতাটিতে "ডিসেম্বরের শীতে বৃষ্টি তুলে রাখছ লকারে" - অসাধারণ!
কী বলি দাদা খুব আনন্দ পেলাম , শ্রদ্ধা নেবেন ।
মুছুন