আমার পৃথিবী
১)
গড়ের ধার ধরে এলে তোমার বাড়ির থেকে আমার বাড়ির দূরত্ব খুব বেশি নয় অথচ
দ্যাখো এইটুকু দূরত্ব পার করা হল না বলেই লেখা হল না কোন কবিতা, শোনা হল না কোন গান,পড়া
হল না চোখের ভাষা। একেকটা সম্পর্কে এভাবেই দূরত্বের ব্যবধান বাড়তে থাকে, অথচ আমরা
উভয়েই জানি আমাদের বাড়িদুটি ঠিক নাক বরাবর।
অন্ধকারের ভেতর থেকে বাইরেটা যেমন আলো আলো লাগে, তেমনি শূন্যতায় দাঁড়িয়েই হৃদয় অনন্তের সন্ধান পায়। এই শূন্যতা এই অন্ধকার এ যেন এক আশ্চর্য যুগল। যত শূন্যতা তত প্রাপ্তি, যত অন্ধকার ততই আলো। এই ভাবে ভাবতে ভাবতে আমার ভেতরটাও আলো হয়ে ওঠে,যেন খাঁ খাঁ রোদ্দুর।এইভাবে থাকতে থাকতে আমার ভেতরটাও শূন্য হয়ে ওঠে, যেন অসীম অনন্ত।
--------------------------------------
ছবি ঋণ: গুগল
3 মন্তব্যসমূহ
খুব ভালো লাগলো। বিশেষত ১।
উত্তরমুছুনভীষণ সুন্দর
উত্তরমুছুন"এইভাবে থাকতে থাকতে আমার ভেতরটাও শূন্য হয়ে ওঠে, যেন অসীম অনন্ত।" নিজেকে অনন্ত ভাবা এবং শূন্য বোধে উত্তরণ ঘটানো প্রকৃত কবিরই কাজ। কারণ এর মধ্যেই নাথিংনেস প্রজ্ঞা বিরাজ করে।
উত্তরমুছুন