সাম্প্রতিক

6/recent/ticker-posts

সমিধ গঙ্গোপাধ্যায়:কবিতা

 


দুটি কবিতা

 

সত্যমেব


কালাতীত ব্যস্ততা,
ভাইরাল পায়া জুড়ে স্ব-ভিক্ষা স্ব-মিথ্যে
হাঁটাবার অবিরাম হেতু
যেন ব্যকরণ থেকে ভাষাযোনি ভেঙে তুলে
সুকুমার ছলে এক শিঙে বসানোর বুড়োখেলা

অথচ বিশেষ খ্যাত মরণের পায়ের তলায়
দুটো ঘুমে ভরা চোখ--
চোখের পাতায় পলি
চোখের কোলে ঠান্ডা স্বর
এতবার মাড়িয়ে গিয়েছে আজ রাস্তারও মুখ
দেখাবার জো নেই
নরম ও শক্ত পিশাচ--সামর্থ্য অনুযায়ী
অভিভাবকের মাথা পিছু, তাই
অনুতাপ নেই
শুধু ক্ষমা ছেপে বেরোনোর কারখানা হাট খুলে রাখা

কার শোধ? কে কাকে শুধোয়?
বাজনার শিরদাঁড়া থেকে যদি অজস্র মেঠোগাঙশালিকের
মেশামেশি ছোট দুষ্টুমি
তবে এইবেলা প্রতি পা-ফেলার গর্দানে তিরতিরে ঠোঁটজোড়া ধুয়ে,
বলো, "আমি সর্বংসহা, আমি দেবী!"
বলো, "চোপ!"

 

 

চিরুনি


 

চিক্কুর দিয়ে দিয়ে
           ঘাম ছাড়ছো
           কাম ছাড়ছো
তুমি

শালুকপাতায় একটামাত্র
প্রলাপ দেখেই তাকে
পৃথিবীর মতো নপুংসক আর
ভেবে নিতে পারছো না
কেননা বিচ্ছেদেই চামড়া শুদ্ধ আরও
জ্বলজ্বলে হয়

পথের রাজড়া আজ পাজামার গিঁট
খুলে দর্জিকে উপহারে ভরিয়ে দিয়েছেন
এই যত্নে বুকলিস্ট কালকে থেকে মেক আপ
পাল্টাবে
নিখরচার গৃহযুদ্ধ যেমনটি অনায়াসে
দ্য গ্রেটেস্ট শো অন চাঁদ

না-হয় দিলেই হাততালি
হতে পারত মুখঝামটাকে ডাকলে, 'হে চাবুকপ্রিয়া!'
সশব্দে কামড় দিলে চিবুকের ছানা কেটে যাবে
তাই
প্রৌঢ় ময়ূরপঙ্খী বিশবাঁও মাছরাঙার পিছনে পাঠালে
নিজে অবিকল্প ফড়িং সেজেই

এ প্রেমের জীবসেবা লাগে না কখনও
রোগা বৃষ্টি মোটা ছাতা কী আরামে হারিয়ে এসেছো
বলো
 এইবার, এইবারে হালকা ফিটফাট লাগছে না?

 

 


 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ