সাম্প্রতিক

6/recent/ticker-posts

সবর্ণা চট্টোপাধ্যায় :কবিতা

 



দুটি কবিতা

মন্দারমনি

 


 

তাইতো বলেছি, থেকে যাই আরও কিছুদিন

বালিদের কাছে কাছে 

আঁশটে বাতাস মাখা আমাদের ঝিনুক শরীর-

অছিলায় ফিরে আসা এই, 

 

থেকে যাই? 

 

ঝরা পাতার দেশে আর কীই বা আছে ফেরার মতো

 

এখানে নোনা হাওয়া, 

গলায় রোমান্টিক গান,

 

ও মেয়ে, তোর দেশ কোথায়?’

 

মেয়ে ট্রলার দেখায়

ছোট হয়ে আসা মাস্তুলে ভাঙা সংসার,

নুন জমা চামড়ায় মালিশ করে তেল! 

 

চলে যাওয়া পায়ের ছাপ দেখি,

ঢেউ এসে মুছে দেয় কখন, কখন

রেখে যায় সফেদ ভাঙা খোল

মৃত স্টারফিস যেন এক পুরোনো সম্পর্ক!

 

ডাবের খোলার মতো হাঁ করে চায় চাঁদ,  

চারদিকে শুধু চাই চাই আর চাই

আমিও কি বিশ্বাস ভাঙিনি কখনও 

কখনও মিথ্যে বলিনি কি! 

 

তুমি বুঝেও তো পুজো করো রোজ! 

 

পালটে যাই একটু করে করে-

এ পালটানো বড়ো ভালো। 

একটা চুমুর সকাল, 

কফির ফেনার মতো লেগে থাকে।

 

সানগ্লাস নামিয়ে সমুদ্র দেখো- 

আমি পার হয়ে যাই অনায়াসে শঙ্খচিলের আকাশ!    






ঘুড়ি

 


 

কার অপেক্ষায় বসে থাকি! 

জানিনা মেঘ আজকাল এত কেন কালো? 

আমার রক্তজালিকারা জড়িয়ে যায় নিজে নিজে! 

 

এলোমেলো ধুলোর নীচে ধূসর দুটো চোখ

কালবৈশাখী ধরে রাখে

একপশলা শিলাবৃষ্টির খবর দেয় ছোটবেলার 

বান্ধবী। যেন ঠিক অমিয়মিত ঋতু

 

তোমাকে আঁকড়াই একটা গাছ পুঁতব তাই

সে গাছে রোজ জল, মাটি উলোটপালোট 

তারপর কচি কচি বসন্ত পাতার দৃশ্য 

আটকে থাকবে গাড়ির কাচে! 

ড্রাইভিং সিট থেকে দেখব কিভাবে জীবন প্রতিনয়ত 

বদল করে রং। সিগনালে দাঁড়ানো লাল থেকে হলুদ 

থেকে সবুজতারপর ফিকে, চিকন সবুজ!  

 

অপেক্ষাও পালটে যায়। চোখ থেকে ঘুম সরে গেলে

কালসিটের পাহাড় দেখি! 

কালি জমা সন্ধের মতো মুখ 

গুঁড়ো কফির গন্ধ মেঘেদের গায়ে। গরম লাগে খুব। বসন্তের শেষ পাতাটার মতো 

একটা কবিতা ডায়েরির কোণে ছটফট করে

 

ওটা কি কবিতা? নাকি ঘুড়ি! 

 

আকাশের কালো গায়ে হাওয়ার আঁচড় খেতে খেতে 

ছটফট করছে একটা ঘুড়ি! 




 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ