দুটি কবিতা
আঁশটে গন্ধ
ঢেউ আর
বাতাবি লেবুর গন্ধ
চেনা চেনা
লাগছে বরাবরের মত?
এদিকে...
ঝনঝন করে
ভেঙে পড়েছে অনিশ্চয়তার ঝিনুক
মহামারীর শেষ
ঢেউয়ে অনিদ্রার ধুলো
এরপর মোছা
হয়ে ওঠেনি হ্যারিকেনের কাচ
উপরন্তু
তোমার ঠোঁটের গন্ধে আপোষ করিনি আর
জন্মসূত্রে
হয়ত আমি দ্রোহী
গায়ে এখনো
উদ্ভট আঁশটে গন্ধ
শুনেছি
প্রতিটা খুনের পর
এমন গন্ধ
লেগে থাকে বিপরীতধর্মী মাছেদের গায়ে-
তুমি সংসারী
বলে
আমার নখে
ঘনঘন থিতু হচ্ছে ফেনা...
বিপর্যস্ত
মাঝরাতে হ্যারিকেন জ্বালানো বাকি
আলোয় স্পষ্ট
দেখতে পাই দাহ্য প্রতিটি মোমের শরীর...
তুমি সংযমী
বলে
মৃতদেহের
আশপাশে ভরাট হচ্ছে খালি জমি।
তাজমহল
স্মরনীয় সেতু ভেঙে এঁকেছ তাজমহল
সমাধির ওপর গোপনে তাকালে
জোয়ার আসে যমুনায়...
লোকে বলে
জল বেয়ে আসে... গৌরীতরঙ্গে...
সাজাহানের তখনো অভিষেকের বয়স হয়নি-
শব্দকোষে বিভাজন শুরু-
আরবিতে 'ভালোবাসি' জানালে
ভিড় হয় ফোয়ারায়-
ফার্সিতে গাঢ় বিজুরি বিভঙ্গ...
বাংলায় লিখে রাখা শিলালিপি থেকে
ঘোষণা হয় হিজরি নববর্ষ-
এমনই ঘোরতর ঘুমে
তাজমহলে সাড়ে তিন হাত মাপ দিয়েছিলেন মুমতাজ...
0 মন্তব্যসমূহ