শুশ্রূষা নিয়ে কথা হোক
উন্মাদ হয়ে আছে যাবতীয়। ঔদ্ধত্যদিনের পাশে গুরুমূখী বেদ।
নির্ভার আত্মায় ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে আসছে মৌমাছি। দেখে বোঝার উপায় নেই তারা
দৃষ্টিশক্তিহীন কিনা। এলোমেলো চলনের দাগ আর বিক্ষিপ্ত রঙ। সময় নিয়ে গেছে যতটুকু,
ফিরিয়ে দেবে তার তিনগুণ, এই ভেবেই আপাতত চক্রবৃদ্ধি হারে ওঠানামা।
কিছুটা ঔদাসিন্য আর সাময়িক পথভ্রম...
মোহরভরা কলসের সর্বাঙ্গে প্রাচীন উল্লাস। যিনি চিনিয়ে নিয়ে এসেছেন এতকাল, সেই
ছায়াপথে আভূমি আকাশ। লীলা তো রূপক, কর্মকার আসছেন, তার সাথে আলতা পায়ে আসছে এক
বেশুমার নির্ণয়। অথৈ নির্জনতা। নিরাময় নিয়ে বেনামী কারবার। অকারণ প্রয়োগের ভিড়।
তড়িৎ চৌম্বকীয় ক্ষেত্রে একের কাছে সঞ্জীবনমন্ত্র আরেক দুয়ারে বেলকাঁটা।
তর্পণ কী ? জন্মগত সূত্র, উল্লেখিত নথিতে কয়েকটি
অবুঝ পায়রা গমদানা খুঁটে খাচ্ছে ঘাড় ঝুঁকিয়ে। এদের ভিতরই কি একজন আমার পিতৃযানের
বাহক ? সর্বক্ষণ কি এঁকেই তন্নতন্ন করে খোঁজ ? তর্পিত সামগ্রী গ্রহণযোগ্য নয়,
বর্জনযোগ্যও না। তবু
উপাসনার নাম এলেই মুরারি হুট্ করে ঢুকে পড়েন ঐ আত্ম'য়। উপলব্ধির আগেই ছুঁয়ে দেন
কেতকী লাগানো ঠোঁটের ক্ষত।
স্পর্শে যে সর্প আছে আর তাঁর যে সুখদংশন আছে,
সে-সব কেইইবা জানত? অত:পর লোকলজ্জা দাঁড়ায় হলুদ গোলাপ এনে। ক্রমশ নদী হয়ে আসে
পুকুরঘাটের অর্ধনগ্ন মেয়ে। বলা বাহুল্য, এ' নদী সে নয় যাকে নিয়ে আপনারা কবিতা
লেখেন বা গায়েগতরে খানিক মাংস লেপে গড়ে নেন
প্রকাশিতব্য উপন্যাসের দেবীচরিত্রে। এই নদীর গোপনীয় কোণে প্রতিরাতে জল জমায়
নির্দিষ্ট কেউ , তারপর সেই জলে ডুব দিয়ে পরম শান্তিতে সে ঢলে পড়ে আরও গভীরে।
নদীজন্ম তাই এক
গর্বিত আখ্যান যার লৌকিক জানাজানি নেই, নেই প্রকাশ্য পদ্য। আছে কেবল
একটি আশ্রয়ফুল আর শুশ্রূষা নামের প্রাগৈতিহাসিক ডাকঘর...
1 মন্তব্যসমূহ
খুব ভালো লাগলো
উত্তরমুছুন