পাশাখেলা
এক .
অভ্যাসস্পৃষ্ট শব্দে ভিজে ভিজে ছায়া নেমে এলো |
মৃদং - কাঁসর কিংবা ঢোল - শোহরৎ নিয়ে যে চলেছে নানান
বাহারে তার টং - ঘরে শুকনো বৈঠা | একটু চাঁদ আকাশকোণে , বাকিটা নীল মসী | যখন পড়বে না আর দারিদ্র রচিত অভাব অঙ্গের অংশ , যখন মাথার বাইরে রাসচক্রের ছায়া ফেড করছে মানিকচক্র গ্রামের অদূরে নীল
নৈশদীপগণ , এখন তার সাময়িক মর্মরিল খুলে কুন্ঠিত হই সতর্ক ও
কিঞ্চিৎ আড়াল করা বনস্থলী বাড়ি দেখে | সে জানতো শেষ
রাতের রাঁঁড় শরবতে মেশাচ্ছে বিষ | দৃশ্যত দ্বিতীয় জানলা ফুঁড়ে
বিছানা পাতছে ধর্মঠাকুরের দেশে নিষ্ক্রিয় পুলিশ ! ততদিনে অভিযুক্ত | দাগি | ততদিনে মধুপের ভুলে যার মুখ চেনা যায় না সে - ই আমি | আমার অশ্বপৃষ্টে , তুমি গুণ টেনে পেরোচ্ছ গা - মসী ডিঙিয়ে কত বিভঙ্গে | স্তরে স্তরে আত্ মা খোয়া রঙ্গমঞ্চের হে কাত্যায়নী | কি যে এক
উথাল পাতাল অন্ধকার গর্ভ থেকে অষ্টাদশভূজা
একাকী ভ্রমিচ | কিছু গ্রাম ডুবে গেছে চারফুট বালির তলায় | কেউ যেন এক ফোঁটা হিমোষ্ণ বীর্য ফেলে দেয় পৃথিবীর বোঁটায় | এই মৃদু অন্ধকার , কামরাঙা ফুল , যেখানে রাতের আকাশ নেই ...
দুই .
তবে অবারিত অচল আধুলি | বাতাসের দু ' একটা এখনো পকেটে | সব রেখে যাবো শূন্য সুরের | পায়ের কাছে এখন
শুধুই পলাশের দখিনা | এতো রক্ত খর , ছিন্ন দ্রোণ !
অবিকল ঋতুরক প্রশান্ত অসময়ে ফুটে আছে | ফুল | খুচরো মাটির বাড়ি | টিউকল খোঁজে , সব ভাঙা | তামাদি আর্যবর্তে , নিরন্ন কঙ্কাল
হয়ে যাচ্ছে মায়া কাটিয়ে | যে টুকু তুঘলকি | আর অন্তর্জলী - কারুকাজে মনোযোগ অমর রহে | বলো বলো বলে চলো
হে , ছত্রধর , মুখোশের মাথায়
ট্রিগার | যদি ভুল বলো , এখানে সেখানে বসে
উগলে দাও রক্তমাখা গৌরীপট | কিংবা " মারবো এখানে লাশ
পড়বে শ্মশানে "! তো হটাৎ হেসে উঠবে ওই বিদূষক বেড়াল | এই কুচকাওয়াজের
নিচে কত রকমের মনোময় | কত ডিসকোড্যান্সার জড়ো হচ্ছে ভেতরে ভেতরে | কত নর্তকী শলাবতী , শহরে ঢোকার আগে গাড়ি থামিয়েছে
হিসির শব্দে !
তিন .
নম্র অনীহায় শিমুলের লাল ফুটে আছে ... লিওর ওঠো | গর্ভের ফুলের
কাছে সম্পূর্ণ অচেনা পাখি অন্ধকারে ডাকে | যখন আমি শিকার
ধরিনি কোনও | যখন হেঁটমুন্ড ঊর্ধ্বপদে ঝোলাবো আর চাপকে সিঁধে করে
দেবো | এই আনন্দে
ড্রেনের মধ্যে , ইঁটের ভাঁটায় , আস্তাকুঁড়ে , নদীর জলে ভাসবে লাস ও লোধ্ররেণু ... ! শেয়াল কুকুরের
শব্দে কাঁদবে তারা | অসম্ভব দৈহিক কষ্টে , শরীরের এপার
ওপারের সেলাই খুলে যেতে যেতে মনে হবে , আহা ! কী সুন্দর
মোক্ষনদীর মধ্যে গড়িয়ে যাচ্ছে মানুষের অব্যবহৃত জিভ | তুমি না থাকলে যে
আমি কীরকম দমবন্ধ কী তেষ্টাকাতর | আয়না - ভাঙা পারার মতো বিষের
কাপে , বিবমিষায় যে মেয়েটি আমার ছলনায় ভুলে বাথরুমে রক্ত
দেখে একা কাঁদছে , আমি তার শরীরে ষোড়শী নক্সা আর কারুকাজে বারংবার বাজতে
চাই শ্যাম রায় !
0 মন্তব্যসমূহ