দুটি কবিতা
কুহকিনী তুমি, বলোনি কখনও মাতা!
নহবত জুড়ে বেদপিতাদের ক্রোধ
সন্তর্পণে লিখে রাখি পারমিতা
সীমানার গাঁয়ে গড়ে তোলো অবরোধ।
মোহনায় মেশে পুরাতনী যত নদী
অববাহিকায় টিকে থাকা বড় দায়
চেনা নৌকায় পালতোলা নিরবধি
মাতৃকাহিনী লিখে রাখা অলকায়।
তোমাদের দেশ ঋষিদের উত্তাপে
আহুতিতে মেশে ঘৃত আর তুঁতফল
মেঘেরাও জানে তুফান তুলতে কাপে
প্রাচীনা মুকুর চিরকালই অবতল।
অগ্নিকুণ্ডে দাহ্যতা শিখে নিক
জরায়ুর ফাঁসে কোঁচকানো শতানিক!
সব চরিত্র পৌরাণিক
উৎসে আছি, মোহনায়ও। দায় নেই আজ, পাখনা মেলেছে লিপি
জলের উৎস পুরাতাত্ত্বিক জানে, মেঘের খেয়াল লিখে রাখে জলপিপি।
বদ্ধ ও প্রাণ। কান পেতে শোনো, কাকলীতে আঁকা চেনা ক্রৌঞ্চের দেশ
মেঘ সরোবরে ধর্মের রাজা। ছায়াপথ জুড়ে মুনি ঋষি দরবেশ!
উৎসবে আছি, শ্মশানেও। কারও কারও বুকে ক্ষুধামান্দ্যের মালসা
শাণিত এ খঞ্জর। সুখের পিধানে চেনা তরবারি ঝলসাক!
উচ্ছ্বাসে আছি, প্লাবনেও। নাভিদেশ থেকে ডানা মেলে শতদল
ক্রোধে, অভিমানে রাজবেশ ছাড়ি, অঙ্গে জড়াই বল্কল!
বজ্রে বাঁধানো ছাতি। পুথি থেকে ছেড়া আগুনে পোড়ানো সুখ
আচমনে জাগে রতি। ক্ষতি ভুলে দেখি মেঘেরা পরাঙ্মুখ!
পোষা পাখিটাকে রাখা। পাখনায় মাখা বেদনার চলভাষ্য
চরিত্রে থাক মন। অমাবস্যায় বড় চেনা মহালাস্য!
0 মন্তব্যসমূহ