১
আষাঢ়ভবনে
আষাঢ় পর্যন্ত দুধের দিকে ’ধ’ গলা পর্যন্ত
কে আকারের মা ও মধু
দিয়ে দিচ্ছি চেনা মানুষের ব্রত ব্রতপাখির তীক্ষ্ণপা
প্রাজন্ম যদিও শিকার করছি ড্রিলমানুষের মুখ
আমরা মুখবালা…
আসুন খোপছাড়া হই
ক্ষেপণাস্ত্রে দিই মেয়ের চুল ছেলের নাক
মেয়ে পর্যন্ত ছেলে
ছেলে পর্যন্ত
শূন্যের লুপ স্থানের লোপাট লেপটান পাখির ট্রা টার উইন…
লোপা পর্যন্ত আমি
চুষে নিচ্ছি সব আষাঢ়ভবনে…
২
স্ত্রীসমেত
এ আমার গাছবেলা নয় ট্রিবেলা… ঘনত্ব স্ত্রীসমেত ওঠে । ভাসে তুইচাষের তুমিতে।
বেদনাস্ত্র হই। যদিও তোর লিপি তোমাদের, যদিও তুই আপনার
কানে ধাতব। গুলিয়ে ওঠে গ্যালোপিং। স্ত্রী মোহনাস্ত্র হয়।
এ মার্তারা
এই মাত্র নক্ষত্রের বুকে গ্যাস ভরছে ছেলে।
এই মাত্রা মেয়ের জন্য ঘুরিয়ে দেখছি প্রভু।
এ আমার লিঙ্গটুকু ফাঁকা… এই আমার আয়তনপাড়, এসো স্ত্রীসমেত নামি।
কামনাস্ত্র হই।
যদিও ছেলেচাষের মেয়ে
তবুও রাজনন্দিনী
এ আমার পাখিবেলা নয়
এই আমার যৌনাস্ত্র নাও…
7 মন্তব্যসমূহ
দারুণ কবিতা সব্য। অসাধারণ। এমন সব শব্দ নির্মাণ করছো যা একান্ত তোমার। এটাই তোমার সিগনেচার। শুভেচ্ছা। চিত্তরঞ্জন হীরা
উত্তরমুছুনকবিতায় ভিন্নমাত্রা যোগ করার কাজটি অনায়াসে করেন কবি সব্যসাচী। শব্দশ্রমিক হিসেবে সার্থক একজন। কবিতার বিষয় নির্বাচনেও মনোকজাগতিকসাম্প্রতিকতা লক্ষ করি।
উত্তরমুছুনকবি, ফুলেল শুভেচ্ছা।
সব্যর কবিতা পড়লেই নিজের লেখা নিয়ে এত সংশয় তৈরি হয়! মনে হয় নিজের শুরু বাকি রয়ে গেল। এই লেখাদুটো পড়ে একই সংশয়ে তলিয়ে গেলাম। মনে হয় কিছুই পারলাম না। এত ধাক্কাপ্রবণ সব্য ও তার লেখা। সেলাম।
উত্তরমুছুনখুব ভালো লাগলো,❤️
উত্তরমুছুনস্বতঃস্ফূর্ত এবং স্বতন্ত্র, 💐
এই সেই রাজকীয় চমক! যত পড়ি ঘোর বয়স্ক হয়! ভাবাচ্ছো এভাবেই। কলমকে সবসময় শুভেচ্ছা। টান টান ভাষার স্বাদ!
উত্তরমুছুনঅপূর্ব অপূর্ব..ট্রি বেলা থেকে স্ত্রী সমেত এ পৌঁছানো তোর পক্ষেই সম্ভব..
উত্তরমুছুনকৃষ্ণেন্দু
এসব কবিতা অনেক কবিতাকেই যে ডিসকার্ড করবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কবির ডিসকার্ডে কিছু যায় আসে না। কিন্তু কবিতা যদি কবিতাকে ডিসকার্ড করে,তার'চে বড়ো আনন্দ আর কিছু নেই। এ হচ্ছে কবিতার গানপাউডার।
উত্তরমুছুন