অন্ধগ্রীব
অস্ত্রসন্তাপ অস্ত্র
সংলাপ
অস্ত্র হত্যার গতায়ু
শোক
সহসা নদীজলে তমোদ্গয়
হলে
বালিকা পড়েছিল আরণ্যক
সংক্রমণপ্রিয় ময়না
পাখিটিও
দেখছে স্তনোধিক এ
বর্ষায়
চাষিরা গান করে
সন্ধ্যা অক্ষরে
ঝিলিক মারে সাদা
হাঁসুলিগায়
রক্তে মাছ দেখা মানুষ
তুমি একা
আমি কী অক্ষত রমণ নই!
যখন জীভ আসে খাদ্যে
নিঃশ্বাসে
----সে এক প্রজাপতি
অনন্বয়ী
ঈমন জোছনাতে দেখেছি
হোরি মাতে
মদের দোঁহা লেখে
আচুম্বন
এই যে ভ্রামরাখি জটিল
ছিল নাকি!
চতুর্দিকে ছিল
নৃমুণ্ডন
জটায়ু ডেকে ওঠে
সুফিয়া সংকটে
তবুও কই তুমি
শিখণ্ডীর!
অন্নকূট ফেলে গিয়েছ
যদি ছেলে
দেহান্তরে দেখে
সত্যপীর
চতুর্দিকে বেশি নিঃস্ব
প্রতিবেশী
তাহার দরগায় তারার
ভিড়
ভিখারী পালে বাড়ে
নিহিত শৃঙ্গারে
ধ্বস্ত সুহানাও
বিলগ্নির
শিকারি বেড়ে চলে
অমেয় শৃঙ্খলে
শিকারি ঠোকরায় হীমের
ধান
তবুও জলভরা বাতাসে
চবুতরা
পেতেছো তুমি ,দুধ
খাওয়ার গান!
হঠাৎ গ্রহরাতে দেখেছি
হিংসাতে
হিরণ ঝলসায় নিজের লাশ
আতুর মানবিকে
স্বস্তিকাটি লিখে
তুমিও যেন এক
বিরোধাভাস
সবুজ জরায়ুর
এন্ড্রোনাল সুর
রেখেছো সিসিফাসে
অগত্যায়?
অমেয় আসুরিক,নগ্ন হওয়া
ঠিক
রক্তকরবীর ওপাশটায়!
যখন প্রিয় ঝরে
গ্রহাণুগহ্বরে
অল্প লাল হয় আচম্বিত
শঙ্খধ্বনি শেষে অনাদ
পরদেশে
মলীন করো মোরা
জনান্তিক
ইচ্ছামতী চলে ইচ্ছামতী
যায়
দু'তীরে মুরশিদ বনের
গ্রাম
নিনির্মেষে ধান ধানের
ম্রিয়মান
দেখেছে পুলহার অসাবধান
সে তারা জানতো না
বিবাহ প্রার্থনা
সে দেহ চিনেছিল চিলের
ডাক
ভস্ম গনগনে ভস্ম
কর্ষণে
শূন্যে পাক খায় ডোমের
কাক
তোমার ধর্মীয় ধারালো
ইন্দ্রিয়
খুবলে নেয় কূট
মাতৃযান
অথবা আমি একা পড়ছি
মৃত লেখা
আমরা নই কেউ
রাগপ্রধান
শরীর দেবকামী এবং
উভগামী
কিন্তু ধর্মত মুক্ত
নয়
স্রোতের অকপটে
ঘূর্ণিজল ঘটে
তলিয়ে যাওয়াটাই
হিরন্ময়
মাছেরা তথাগত
গুল্মভারানত
মুণ্ডহীন দেবী গুগলি
খায়
জাদুর কেয়ামতে তোমার
দেহপটে
শ্রীরামধূন ঘটে যে
সন্ধ্যায়
আমার দেশ জ্বলে আমার
জনবলে
আমার পদাবলী প্রণীত
নয়
ভীষণ কলোরোলে কাফন মুখ
খোলে
বলেছে বাংলায়
অনিশ্চয়
কীভাবে অতিকায় ময়ুর
ঠোকরায়
চোখের মাঝখানে আচম্বিত
বাতাসে খোলাখুলি
ঘ্রাণের রংগুলি
মিশেছে সরাসরি।চারণগীত
গাইছে বৃষ্টির শিহর
সৃষ্টির
সূত্র মেনে এক ভৈরোঁ
ঠাট
অথচ স্রাব চেপে রাখতে
গিয়ে ক্ষেপে
উঠছে গ্রামে এক তারের
হাত
রোগাটে রক্তের ভেতরে
বন্দের
কল্লা কাটে দেখো
যোগ্যতর
আমিও তার মতো তারই
পোড়া ক্ষত
কাটছি... বুমেরাং যে
ঈশ্বর
হঠাৎ আলপনা দেওয়ার
আলোচনা
থামিয়ে ঘুঘু ধরি
নিরুদ্বেগ
ধূসর বয়ে যায়
অন্ধকারে যায়
সংখ্যালঘুভরা জলের মেঘ
সন্ধ্যা ঘটে থাকে
।পরমব্রম্ভাকে
আরতি করি স্তন যোনির
জীভ
ছেঁড়ার আগে রুহ
ছেঁড়ার সরোরুহ
সকলই দিই তাকে
অন্ধগ্রীব
0 মন্তব্যসমূহ