সাম্প্রতিক

6/recent/ticker-posts

পাপড়ি গঙ্গোপাধ্যায়




রাখীর জানলা

রাখীর জানলা দিয়ে কদম গাছটা দেখা যায়। তার নীচে একা একা খেলে এক বালক। রাখীও বালিকা। আয়া আন্টির ঘুমের সময়ে সে চুপিচুপি উঠে যায় বালকের সঙ্গে খেলতে। দু’জনে মিলে কত কী যে খেলে! বালক বাঁশি বাজায়। খেলনার প্লাস্টিকের বাঁশি। ছেঁড়া ফেলে দেওয়া কাগজ কুড়িয়ে সেই দিয়ে বানানো মুকুট পরে। রাখীর জন্য জমিয়ে রাখে ফুল। আয়া আন্টির ঘুম ভাঙ্গার আগেই রাখী ঘরে ফেরে। তাই রাখীর এই অভিযানের কথা কেউ জানতে পারে না। 
একদিন রাখী দেখল বালকটি আসে নি। তবুও কী এক টানে সে গাছের তলায় গেল। দেখল এক টুকরো কাগজ বাঁশি আর মুকুট চাপা দিয়ে রাখা আছে। কাগজে লেখা আছে- আমাকে তো পুরো কেউ পায় না। তুমি কোনটা বেছে নেবে নাও। 
রাখী ভাবল মুকুট আমার কী কাজে লাগবে? বাঁশিই ভালো। বাজবে। 
সেই থেকে রাখীর জীবনে দুঃখের অন্ত নেই। সেই থেকে লোকে বলে রাখী স্কিতজোফ্রেনিক। 




                       পাপড়ি গঙ্গোপাধ্যায়