সাম্প্রতিক

6/recent/ticker-posts

অমলেন্দু চক্রবর্তী


ঘুম




*রাত্রি প্রথম প্রহর*

একপাল দুপেয়ে লাঙুল বিহিন এক বিশাল ইমারতে প্রবেশ মাত্র অসুখে আক্রান্ত  হয়ে অপর হয়ে ফিরছে।পালের গোদা থেকে পাল কে পাল সব গুলোই অসুখে আক্রান্ত। তোবুও থামছে না, এক অদৃশ্য শক্তি,স্বেচ্ছাচারিতার রাজশাক্ষি। আন্তর্জাতিক বাজি ধরা অপরিহার্য হয়ে উঠছে  কেউই লাগাম পরাতে অক্ষম  বে-লাগাম। অশ্ব খুরের টগবগ টগবগ। একটি দুটি তিনটি চার চোদ্দো চোব্বিশ চৌঁত্রিশ চল্লিশ চুয়ান্ন - - - - শত শহস্র ক্রমশ উর্দ্ধমুখী। সংখ্যা যেন লাফিয়ে লাফিয়ে উল্লম্ফনে মাতিয়ে রাখতে অপ্রতিহত।এক ঘন কুয়াশাচ্ছন্ন ব্যাধিতে সংক্রমিত। কোথা যাবি মৃত্যুদুত পিছনেই রয়েছে।
                                   বেরিয়ে পড়েছে বাধাহিন   স্বাধিনতা প্রাপ্ত বন্যপ্রাণ,নিস্তব্ধ ব্যাস্তপথ প্রান্তর
 আজ নির্জন নিরবতা। শব এর শরীরি পরিচয় ও‌ শৎকার পরিজন পরিবার হিন শেষকৃত্য। বহু কালের এ এক অচেনা পৃথিবী। বসন্তের দিনের‌ উজ্জ্বল আলো যখন দিগন্ত জুড়ে।থ্যাবড়া নাকু দেশের রাজা ঈর্ষান্বিত হয়ে ।এক ঘনঘোর কালোমেঘের সঞ্চার ঘটালো ,পৃথিবীর যাবতীয় সুখের অধিকার কেবলি তার।সে সব সুখশান্তি ছিনিয়ে নিতে চাই।দু'হাত ভরে মড়ক শোক মহামারি অসভ্যতার জন্য বেছে আনা হয়েছে বর্বর বলীপ্রদত্ত পৃথিবীর নিকৃষ্টতম প্রাণী।যারা দেশের তুলনায় জনসংখ্যায় অধিক। আধুনা জগতের ধ্বংসের প্রতীক। সুযোগ সুবিধার সন্ধানী। অসচ্ছ পর্যাবরন নির্মাণের জন্য বিদ্রোহ সন্ত্রাস লালচোখ লালধ্বজা।এক কর্মনাসা সময়ের সৌদাগরদ্বয়। বাহিত বিকৃত যৌনাচার ব্যাভিচার।
                   ঋতুর এক একটি আগুন খেকো দিনমান বিনিদ্র রাত‌বিছানাও অপারক অপরাহ্নের অপরাধ এড়ানোয়।পংতিপাত আহার বিহার ,আর ঘন্টাঘরের জানা অজানা দুঃস্বপ্ন তন্দ্রা।
                        --বিন্দু"
                        --বল"
                        --সরল সহজ বিস্ফোরণ কেন ...
                        --তোমার কথাতেই তোমার উত্তর
                        --তারমানে?
                        --স্পেশ লাগেনা ! লাগেতো ।
                        --ভয়ঙ্কর হলেও
                        --যত ভয়ঙ্কর ততটাই স্পেশ
                        --এত সহজে !
                        --হ্যাঁ ....
                       --শব্দ ?
                       --ব্রহ্মান্ডে আন্তরিক্ষে আলাদা !
                      --আলো অথবা অন্ধকারে।
                      --না দেখা শব্দব্রহ্ম, না শোনা শব্দব্রহ্মকে গুলিয়ে ফেলোনতো।প্রত্যক্ষে অপ্রত্যক্ষে কিছুমাত্র প্রভাব বিস্তার করে না এ যেমন সত্য নয় কিচ্ছু অনুভুত হয়না এও তেমন কোন কারণ নয় ,ভাবা উচিতও নয়।
                    --তোমার কথায় জটিলতা।
                    --আমাদের মুখোশ দেখা যায়।
                    --কোথায় মুখোশ?
                     --আমাদের খোলশ দেখা যায়
                     --ওহ কেবলি হেঁয়ালি।
                     --ও তারমানে অন্তরালে যা দেখা না গেলে নেই । হিংসা দ্বেষ জ্বালা দেখা যায় না । তাই ধরে নিতে হবে নেই।অথচ সেসব অনুভব করা যায়।
                      --হ্যাঁ এবার বুঝতে পারলাম।
                      --তুমিও ঐভাবেই শুরু করে ছিলে।না বোঝার কিছু ছিলনা।

*রাত্রি দ্বিতীয় প্রহর*

শব সাজানো চন্দন তুলশী ল্যাপানো। চৌদোলায় বাঁধাছাঁদা গেঁদাফুলের মালা গুচ্ছের জ্বলন্ত ধুপের গোছা গন্ধে মম। শব বিধুর(বিপত্নীক) বয়স লগভগ চৌষট্টি কিছু কমবেশি হতে পারে। 
কিছু পোঁটলা নগদ সম্পত্তি।আর স্থাবর অস্থাবর যেমন বঙ্গজ মধ্যবিত্তদের থাকে। ঘরের কোণে ভাঙ্গা তানপুরা হারমোনিয়াম ডুগি তবলা তাকভর্তি কিছু বইখাতা। হাঁড়ি ‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌কড়াই সানকি স্টোভ । বিড়ির বান্ডিল চায়ের কাপ। আর দেয়ালজুড়ে আছে ধূসর ধুলার পরত জমা স্মারক মানপত্র "আত্মীয় কেহ নাই নিকট কি দুর আছে এক তানপুরা,আর ছিল সঙ্গীত সুর। বিবেচিত হইল তেনার সাথেই দহন হইবে সব স্থাবর গুলি। অস্থাবর সরকার বাহাদুর যাহা বিবেচনা করিবেন। 
                              মৃত্যুর পর শব।পূর্ব পরিচিয় বিধুর তাইকি ! নাম ধাম ।
                         --এনার কাছের কেউ কাজের কেউ, কেউইকি ছিলনা।" প্রশ্নকর্তা ব্যক্তিকে আপাদমস্তক দেখাহল। নাহ তিনি এই এলাকার নন । জবাব পাওয়া গেল না। 'এ্যায় '
                        --বিন্দু"
                        --বল
                        --মুখোশ খোলশ?
                        --ওঁর ঐ অর্ন্তজ্বালায় দাউ দাউ।
                       --স্বচ্ছশিল্পী বহুদুর্যোগ জীবন ভর
আত্মার কাছে কাছি দেহাবয়ব ছিলনা। সন্যাস বোঝো,সন্ত ! এক নির্মল আলোকদ্যুতি সম ওঁদের নাগাল সাধারণের নয়গো,সাধারণের নয়।
হতেপারেনা।ভালো করে দেখো যন্ত্রণার লেশমাত্র খুঁজে পাওয়া যাবেনা,ঘুম প্রচ্ছন্ন শান্তির নিদ্রা। মুখোশ হিন এক ঐশ্বরিক মনোশক্তি। শুধু কি তাই। প্রকৃতি নিস্ব্ আজ নিস্তব্ধ স্বজন হারানো বেদনাক্লান্ত ভাষাহীন যন্ত্রণাক্লিস্ট।বহির্জগত তার লেশমাত্র প্রতিভাত হয়্না। তাই বলে সে ভিক্ষুক। ভিক্ষুক তারা যারা তাঁর প্রতিদান দিতে পারেনা ।
ঈশ্বর কে তুমি মানত কর পুরণ হয় তারপর ডালা ভরে ভরে ।বলদেখি তার একণাও কি ....না তবে কেন সেখানে । জীবন্ত ঈশ্বর ছেড়ে.... কার....... পুজার ডালা সাজাও ? ? 
                                       ঝড়জলের সংকেত চাপা গুমোট দমবন্ধ করা আদ্রতা মুর্মুহ গৃষ্মের নিজস্ব বনেদি বাড়ির বাতাসের মত মাঝে-মাঝে। পাতার হিলডোল স্তব্ধ।ফুলেরা ঝিমধরা পারাবত
ভরদুপুরের কোয়েল কাকের বৈরি চড়া পারদ। আদিম পুরুষ আকাশ ছোঁয়ার এলেবেলে চাউনি
ঝুলন্ত লাঙুল ঢিবিঘরে উইয়ের সন্ধান।ঝোলা শাখায় পোয়াতি পেটের মত মধুভরা চাক ।হব্যাশ দাবদাহে র দামড়া ছেলের আব্দার মতো বনেবনে শাখায় শাখায় ‌।
                     --কে বাইরে কড়া নাড়ছে জোরে"
                     --আমিগো আমি"
                      --কে কে আমি? 
                     --নামধাম বল? আধারকার্ড আছে
ভোটার আইডি এসব কিছু না থাকলে ফেরো।
বাড়ি বাড়ি ঘুরে হবে?তবে হোটেল রেস্তোঁরায় যাও দেখি বাবু।যদিও সেখানেও আধার আইডি।নাহলে পিছনে সিআইডি ,সুময় ভালো লয়।
                    --আরে আমি তো
                    -- সিন্ধু ! আগে বলবে তো।
                    --আমাকে বলতে দিলে কই
                    --বেরিয়েছ কেন?
                    --লকডাউন মানছোনা? কিন্তু তুমি না মানলেও আমাদের মানা মানি আছে ।দুরে দুরে বসো বেশিক্ষন বসবেনা ।মানে বসতে দেওয়া যাবেনা।লকডাউনে লকাপে যদিনা যেতে চাও। আমার চৌহিদ্দর ভিতর ঢুকে পড়লে এবার তোমার ব্যাবস্থা আমায় করতে হবে।
                      --বিন্দু
                      --আছে বিশালের পাশে, কুটুম তুমি কেটে পড়।যেদিন ডাকা হবে,তখন তার আবার ।আগেও না পাছেও না। "বিন্দু চলে আসে। "আরে আরে কর কি,আমার ভাইয়েরে ছাড়ায়ে দাও কেন ?"
                        --সময় অসময় বলেতো একটা কথা আছে নাকি  ?
                          --অ তাই নাকি ? তা তোমারে যদি ঐগৃহে তেমনটি করণযায় ভালা লাগিবে তো? আমার ভাইয়েরে অমন করতাছ যে,দেখলি
তো ! কেমন ষন্ড জামাইবাবু তরলগে ।
                          --এই বাজে কথা বলবে না।
                          --যাও দেহি নিজের কাজে।
বিন্দুর ভাই স্নেহো আদরে আদাড়ে পাঁদাড়ে খেজুরে ব্যাস্ত হল। বিশাল ডবল মজা পেল।

*রাত্রি তৃতীয় প্রহর*

জমা খরচের হিসাব ঠিক তেমন করে কোনো দিনই তো রাখা সম্ভব হয়নি। এই করে করে তিন কাল গিয়ে এক কালে ঠেকলো আর হয়েছে ! হিসেব নিকেষ । এবার বাণোপ্রস্থে যাবার বেলা।
মশারি বালিশ বিছানা কোলবালিশ চাদর লেপ তোষক, মায়া ত্যাগ করতে হবে। মোবাইল। হ্যাঁ মোবাইল অল ইন উয়ান জরুরি যন্ত্রটি ছোট হলেও ব্রহ্মাণ্ড বলা যায়। ত্যাগ বললেই ত্যাগ বেলা ওবধি বিছানা আঁকড়ে। প্রগাঢ়ো ঘুম। ভোরের আকাশ আলো বাতাস পঞ্ছির কুঞ্জন মন্দিরের ঘন্টার শব্দ ভক্তি সঙ্গীত । কোথায় ? ঘুম স্টেশনের মত ঘুম ।এতসব তো ঘুমের ঘোরে চটকা জাগা ,আবার ঘুম । "ঘুম পাড়ানি মাসি পিসি আমাদে বাড়ি এসো। খাট দেবো পিঁড়ি দেবো- - - - - - -




 অমলেন্দু চক্রবর্তী