রূপ হল তার অভিশাপ
আমাদের সেই তাহার নামটি অহল্যা ।
বয়ঃসন্ধির সীমায় পা
রাখতে না রাখতেই যে অপরূপ লাবণ্যময়ী অনিন্দ্য সুন্দর মেয়েটির বিবাহ হয়ে গেল ।
বিবাহ হল এমন একজনের সঙ্গে যিনি বয়োবৃদ্ধ , মহাজ্ঞানী , ত্রিকালদর্শী , বীতকাম এক ঋষি । বৃদ্ধস্য তরুণী ভার্যা ।
যতই অসম হোক সে বিবাহ , একবার বিয়ে হয়ে গেলে বিবাহ নামক প্রতিষ্ঠানেই তোমাকে থেকে
যেতে হবে । কারণ ? কারণ সেই আদিকাল থেকে আজ অবধি সেই একটাই
কথা , লোকে কী বলবে ! কারণ ? কারণ তুমি
মেয়ে , তুমি সেকেন্ড সেক্স , তোমাকেই
তাই সবটা নত মস্তকে মেনে নিয়ে হাসি
মুখে মানিয়ে গুছিয়ে থেকে যেতে হবে । সাত চড়েও যেন রা না কাড়ে মেয়ে । মেয়েদের আবার
ইচ্ছা অনিচ্ছা ! সেই কবেই তো বলে গেছেন মনু - নারী শৈশবে পিতার, যৌবনে স্বামীর এবং বার্ধক্যে পুত্রের অধীনে থাকবে ।
যে
নারী প্রভুত্ব মানে না তার জন্য বরাদ্দ হোক যাবতীয় অশ্লীল । নিজের সুখের কথা নিজ মুখে বলবে নারী ! সে তো মহাপাপ । সৃষ্টিকর্তা কে ? স্বয়ং ব্রহ্মা । স্থিতি
রাখেন কে ? বিষ্ণু । বিনাশ করেন কে ? মহেশ্বর । সব্বাই যেখানে পুরুষ
সেখানে নারীর মতামত নেওয়া হবে এমনটা ভাবাই এক সৃষ্টিছাড়া
ব্যাপার ! স্বভাবতই অহল্যার বিবাহের ক্ষেত্রেও সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মা সেটা মানেননি।
তদুপুরি অহল্যা তাঁর মানসকন্যা । ব্রহ্মার পুরো হক আছে অহল্যাকে কাকে দান করবেন কাকে
করবেন না । কন্যা হচ্ছে সেই বস্তু যাকে ইচ্ছা মতো দান করা যায় !
আসলে হয়েছে কি , সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মা লক্ষ্য করে দেখলেন যে স্বর্গের
সর্বশ্রেষ্ঠ সুন্দরী অপ্সরা উর্বশী দিনে দিনে রূপের দেমাকে
এক্কেবারে মটমট করছে । যে কোনও পুরুষকে সে রূপ দিয়ে বিবশ করতে পারে এই
আত্মশ্লাঘায় সেই মেয়ে আর কারও বশ্যতা স্বীকার করতে চায় না ! না , এতো
ভালো কথা নয় । মেয়েমানুষের আবার গর্ব ! সেসব বরাদ্দ শুধু পুরুষ সিংহের জন্য । অতএব
ব্রহ্মা বেশ একখানা কাঁচি করলেন ( তাঁর মুঠোতেই সৃষ্টির চাবিকাঠি কিনা ! ) । ব্রহ্মা
তখন স্বর্গ মর্ত্য পাতাল ঘুরে ঘুরে
সব জায়গার শ্রেষ্ঠ সৌন্দর্য ঝোলায় ভরে সৃষ্টি
করলেন এমন এক নারীর যে কিনা অযোনি সম্ভূতা , যে কিনা ন হল্যা অর্থাৎ যার কোনও বিকৃতি নেই , নিখুঁত
পরমা সুন্দরী এক নারী । এই সেই অহল্যা । পঞ্চ সতীর এক সতী । অবশ্য অহল্যার আরেক
অর্থ অকর্ষিত ভূমি ।
এই যে ব্রহ্মা উর্বশীকে ঢিট দেবেন বলে ( একজন নারীকে দমিয়ে দেবার জন্য আরেক নারীর সৃষ্টি
!) নিজের মনের মাধুরী মিশিয়ে অগ্র পশ্চাৎ না ভেবে যে অনিন্দ্য সুন্দরী কন্যা সৃষ্টি করলেন , কিন্তু সেই
কন্যার দেখভালের দায়িত্বটি নিজে নিলেন না । ভাবুন
একবার ! কন্যা তো অযোনি সম্ভূতা , ‘মা’ নামক মমতার মলম তার কপালে
নেই । আর এখান থেকেই কন্যার জীবনে ট্র্যাজেডির
শুরুয়াৎ ।
নিজের বিভিন্ন মহৎ কর্মযজ্ঞ শিকেয় তুলে সন্তানের দেখভাল ! না না
সে সম্ভব নয় । অতএব ব্রহ্মা অনেক ছকটক কষে কন্যা অহল্যার দেখভালের গুরুভার দিলেন ঋষি
গৌতমকে । কঠোর তপস্যা পালন করে যিনি বীতকাম এবং বয়োবৃদ্ধ ,কাজে
কাজেই ব্রহ্মা নিশ্চিন্ত । এদিকে অহল্যা
? বেচারি না পেল
মায়ের আঁচল না পেল বাবার ছায়া । এক নিরেট অনুশাসন আর নীরস ঋষি সংসর্গে তার
বেড়ে ওঠা । ক্রমে প্রকৃতির রীতি অনুযায়ী অহল্যা ঋতুমতী এবং
তার শৈশব থেকে রজোদর্শন সবটাই ঘটে ঋষি গৌতমের তত্বাবধানে ! ব্রহ্মার বরে অহল্যা
হয় চির যৌবনবতী । উপছে উপছে পড়ে তার রূপের লালিমা । সুতরাং দিকে
দিকে এই বার্তা রটি গেল ক্রমে পরম সুন্দরী অনন্ত
যৌবনা এক নারী আছেন ব্রহ্মার আশ্রমে । সেইসব শুনে দেবরাজ
ইন্দ্রের আর তর সয় না । এমত সুন্দরী নারী যদি না তাঁর বাহুলগ্না
হয় তবে আর দেবরাজ হবার ফয়দা কোথায় । সুতরাং ইন্দ্র সত্বর তাঁর মনের বাসনা জানিয়ে
দিলেন সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মাকে । এদিকে ব্রহ্মা জানেন গোপন কম্মটি । মানে ঐ দেবরাজের প্লেবয়োচিত স্বভাব চরিত্র আর কী ।
কিন্তু ইন্দ্রকে সরাসরি সে কথা না বলে( খামোখা কে আর দেরাজ কে চটায় ! ) ব্রহ্মা দিলেন
এক শর্ত । যে পাণিপ্রার্থী সবার আগে ত্রিভুবন প্রদক্ষিণ করে
আসবে তার সঙ্গেই অহল্যার বিবাহ হবে । ইন্দ্র
মহাখুশি । তিনি হলেন গিয়ে দেবরাজ , অন্য
কারও সাধ্য কী যে তার আগে এই কার্য সম্পন্ন করে ! অহল্যার মতো
সুন্দরীকে পাওয়ার আশায় শুরু হয় ত্রিভুবন প্রদক্ষিণ করার ম্যারাথন রেস । যদিও দেব অসুর মনুষ্যের এই প্রতিযোগিতায় বলাই বাহুল্য দেবরাজ
ইন্দ্রই হলেন প্রথম ।
এবারে মুদ্রার অন্য
পিঠে তাকানো যাক । গৌতম ঋষির তত্বাবধানে অহল্যার দিন কাটে ঋষির ফাইফরমাশ
খেটে । তাঁর আহ্নিকের যোগাড়যন্ত্র করা , তার
আহার প্রস্তুত করা , তার পদসেবা করা । এবং ঋষি গৌতমও এইসব সেবা শুশ্রূষা পেতে পেতে এতটাই অভ্যস্থ
হলেন যে ব্রহ্মার কথা মতো সময় কালে অহল্যাকে ব্হ্মার হাতে প্রত্যার্পন করলেও , তার
মনের মধ্যে কী যেন একটা নেই নেই ভাব , কিন্তু আদতে তিনি ঋষি , সংযমই
তার চারিত্রিক দৃঢ়তা ! সুতরাং
মনের ব্যাথা মনেই গোপন করে গৌতম অহল্যাকে ব্রহ্মার কাছে ফিরিয়ে দিলেন ।ঋষি গৌতমের এই সংযমী আচারে ব্রহ্মা সন্তুষ্ট কিন্তু তাঁর অগোচরে তো কিছুই নেই , তিনি
বেশ বুঝেছেন এই মেয়েকে ঋষির মনে ধরেছে । ব্রহ্মা তখন ঋষি
গৌতমকে অহল্যার পাণি গ্রহনের প্রস্তাব দিলেন অবশ্য নাম কে ওয়াস্তে সঙ্গে জুড়ে
দিলেন সেই ত্রিভুবন প্রদক্ষিণের শর্ত । ঋষি গৌতম মনে মনে অহল্যাকেই চাইছিলেন ( ঋষিরাও তাহলে সুন্দরী অনন্ত যৌবনাকে চায়
!) কিন্তু দেবরাজের সঙ্গে তিনি কী পেরে
উঠবেন , কাজেই ঘুরপথে কার্যসিদ্ধি । নিজেরই আশ্রমের আসন্ন প্রসবা কামধেনুটিকে গোয়াল ঘরের বাইরে এনে তার চারিদিক প্রদক্ষিণ
করলেন এবং ইত্যাবসরে গাভীটি এক গোবৎসের জন্ম দিলে সে জন্মলগ্ন প্রত্যক্ষ করলেন ঋষি
গৌতম । ব্যাস হয়ে গেল তাঁর সবার আগে ত্রিভুবন প্রদক্ষিণ ।কাজে
কাজেই শর্ত মোতাবেক অহল্যা ঋষি গৌতমের । হায় নারী তাকে কেউ জিজ্ঞাসাই করল না যে একেই ঋষি গৌতম যথেষ্ট বয়োবৃদ্ধ এবং তপস্যা
জনিত কারণে বীতকাম তদুপুরি
তিনি অহল্যাকে এক্কেবারে শিশুকাল থেকে ঋতুমতী হওয়া অবধি নিজের তত্বাবধনা রেখেছেন , সেক্ষেত্রে
ঋষি গৌতম আসলে অহল্যার কাছে পালক পিতার ন্যায়
তাকেই অহল্যা কীভাবে বিবাহ করবে ! কিন্তু মহান সৃষ্টিকর্তা
ব্রহ্মার নিদান । তার কী অন্যথা হওয়ার জো আছে ! অতএব অহল্যা এবং ঋষি গৌতমের বিবাহ সুসম্পন্ন হল ।
যে ব্রহ্মা , দেবরাজ
ইন্দ্রের অতিরিক্ত মদনাসক্তি এবং ছুকছুক প্রবণতার জন্য অহল্যাকে তার হাতে দিতে চাননি সেই ব্রহ্মাই ঋষি গৌতমের
সঙ্গে অহল্যার বিবাহ নিশ্চিত করলেন ! ব্রহ্মা তো জানতেন যে ঋষি গৌতম একজন বীতকাম
মানুষ তাছাড়া এতটাই বয়োবৃদ্ধ যে তাঁর পক্ষে প্রথম রিপুর উন্মোচন খুব একটা
সম্ভবপর নয় । একদিকে ব্রহ্মা দৈববলে অহল্যাকে দিয়েছেন অনন্ত যৌবন অন্যদিকে
আবার সেই অনন্ত যৌবনাটিকে ঠেলে দিয়েছেন
ঋষি গৌতমের দিকে ! কী দ্বিচারিতা
! এ যেন আপনি বেশ তরিবৎ করে শা জিরা শা গরমমশলা , জাইফল
জয়িত্রী সহযোগে শাহী বিরিয়ানি রেঁধে , বেড়ে দিলেন তাকে যার জিভে লেগে
আছে কেমোথেরাপির অন্তিম ছোবল ।
ব্রহ্মা এবং ঋষি
গৌতমের এহেন প্যাঁচ পয়জারে ইন্দ্রর পৌরুষ বেজে
উঠল রে রে করে । এমন সরেস হরিণীর স্বাদ কিনা
করায়ত্ত হল এক তপোমগ্ন ঋষির ! যেমন করেই হোক অহল্যাকে পেতেই
হবে। ইন্দ্র রোজ চলে আসেন তপোবনে , গোপনে লক্ষ্য করেন অহল্যাকে ।
তাঁর মন তৃষ্ণার্ত হয় , ইন্দ্রিয় ব্যাকুল হয়। তিনি বেশ বুঝতে পারেন বিবাহিত হলেও অহল্যা এখনও আক্ষরিক
অর্থেই অকর্ষিত । সুতরাং একদিন ঝোপ বুঝে কোপ । ঋষি গৌতম নদীতে
গেছেন স্নানের নিমিত্ত । বেশ কিছু সময় লাগবে ঋষির স্নান অর্চনায় । ইত্যবসরে ইন্দ্র
, ঋষির ছদ্মবেশে একেবারে প্রেমে গদগদ হয়ে অহল্যার কাছে হাজির । অহল্যা উদ্বিগ্ন
। এত তাড়াতাড়ি মুনিবর ফিরে এলেন ! গৌতম রূপী ইন্দ্র জানায় - অহল্যার শরীরী সুধার
আকর্ষণই তার ফিরে আসার কারণ । অহল্যা হতবাক । সামান্য বেশভূষা করলেও যেখানে ঋষির
কাছে ধিকৃত হতে হয় সেই তিনিই ...... । কিন্তু নারীর অনুভব ? সেই অনুভবেই ধরা পড়ে যায় গৌতম
রূপী ইন্দ্র । ততক্ষণে অবশ্য অভিজ্ঞ
ইন্দ্রের প্রেম স্পর্শে অনাঘ্রাতা অনভিজ্ঞা অহল্যার সমস্ত তন্ মন পুলকে শিহরিত । এই
প্রথম অহল্যা স্বাদ পায় অধরা
মাধুরীর । হিতাহিত ভুলে যৌবন ছুটে
যায় যৌবনের ডাকে । যৌবন ভুলে যায় সতর্কতা । তারপরই
ক্লাইম্যাক্স । সত্যিকারের ঋষি গৌতম এসে
হাজির । আর যায় কোথা ! হলেনই বা তিনি বীতকাম এবং বয়োবৃদ্ধ কিন্তু তিনি হচ্ছেন
অহল্যার স্বামী , অহল্যার দণ্ডমুণ্ডের কর্তা বলে কথা ! আর সেদিনের সেই
একরত্তি মেয়ে অহল্যা কিনা নির্দ্বিধায় বলে - ইন্দ্রের এবং তার যে এই
শরীরী অনুরাগ সেখানে অহল্যাও সমান ভাবে পরিতৃপ্ত ! এতদিনে
নাকি সেই মেয়ে যৌবনের আঘ্রাণ
সম্যক ভাবে অনুভব করেছে ! এমন কঠোর
বাস্তব , সামান্য এক নারীর চোখে নিজের এমন কাছাছাড়া রূপ দেখা
কোন পুরুষের পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব ! ঋষি গৌতমের পক্ষেও এই অবমাননা
মেনে নেওয়া সম্ভব হয়নি যদিও তিনি অহল্যাকে দাম্পত্য
স্বাদে বঞ্চিত করেছেন , কিন্তু তাতে কী যায় আসে ! তিনি স্বামী , আর
স্বামী মানে তো মনিব । যে নারী কথা বলে চোখে চোখ রেখে অসংকোচে
জানান দেয় রিপু তৃপ্তির কথা এই মুহূর্তে কাঠগড়ায় তোলা হোক তাকে । শুরু
হোক জবরদস্ত পৌরুষ প্রদর্শন ! অহল্যার
মাথার উপর তূরন্ত নেমে আসে ঋষির অভিশাপের
খাঁড়া – এই অনিন্দ্যসুন্দর রূপরাশি আর কেউই দেখতে পাবে না।অবশ্য কিঞ্চিৎ
দয়া পরবশ হয়ে তিনি একথাও বলেন যে এই সত্যযুগ শেষ
হবার পর ত্রেতাযুগে রামচন্দ্র যখন বনবাসে আসবেন তাঁর স্পর্শে মুক্তি ঘটবে অহল্যার
। ততদিন শুধু বায়ু ভক্ষণ ভষ্মের শয্যায় শয়ন এবং কঠিন
তপোশ্চারণ এই অহল্যার নিয়তি ।
তবে হ্যাঁ , ইন্দ্রও
সে যাত্রায় অভিশপ্ত হলেন । সহস্র যোনি চিহ্ন ফুটে উঠল তার গায়ে । লজ্জায় আত্মগোপন
করলেন ইন্দ্র । ব্যাস দেবসভায় ত্রাহি ত্রাহি রব । পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে ঋষি
গৌতম ইন্দ্রকে দেওয়া অভিশাপ মডিফাই করলেন । ইন্দ্রের গায়ের সহস্র যোনি চিহ্ন রূপান্তরিত হল সহস্র
লোচনে , আরও সুন্দর হয়ে উঠলেন তিনি । যেন শাপে বর । হাজার হোক ইন্দ্রও পুরুষ , ঋষি গৌতমও পুরুষ । আমে
দুধে মিশে গেলেন তাঁরা । একা
আঁটি হয়ে পড়ে থাকল অহল্যা । পরে থাকল তার অনিন্দ্য রূপরাশি
আর অনন্ত যৌবন নিয়ে লোকচক্ষুর আড়ালে , পড়ে থাকল অভূক্ত পাথর প্রতিমা
হয়ে ।
শেষমেশ অবশ্য ত্রেতাযুগে শ্রীরামচন্দ্র
তার পবিত্র চরণ কমলখানি রাখলেন পাষাণী অহল্যার গায়ে ।
শাপমুক্তি ঘটল তার । কী বিধান ! এক পরপুরুষের ছোঁয়ায় প্রস্তরীভূত আরেক পরপুরুষের
ছোঁয়ায় মুক্তি ! অবশ্য শোনা যায়
, অহল্যাকে পুনরায় নিজের মুঠোয় আনার জন্য ঋষি গৌতম নাকি যোগবলে খুব
সত্বর সত্যযুগের অবসান ঘটিয়ে ত্রেতাযুগের আগমনি ঘণ্টা বাজিয়েছিলেন । হাজার
হোক পুরুষ মানুষ বলে কথা , তাঁর কী সেবাদাসী
ছাড়া চলে !
কামনা রহিত অহল্যা ফিরে গেল ঋষি
গৌতমের আশ্রমে । উঠোনে গোবরছড়া দেওয়া বাকি , সন্ধ্যামালতির গাছে জল পড়েনি
কতদিন , কতদিন হল নিজের হাত পুড়িয়ে খাচ্ছেন ঋষি গৌতম ... অহল্যার
, অহল্যাদের কী দীর্ঘদিন পাষাণী হয়ে থাকাও চলে !
0 মন্তব্যসমূহ