এভাবে কখনো দেখা হলে...
--তোকে যে কখনও এইভাবে দেখবো ভাবতে পারিনি।
-- কোন ভাবে?
-- এই যে অচেনা জায়গায়, এতোদিন পর! আমি তো ভাবতাম পৃথিবী
বুঝি গোল নয়।
-- তুই একই রকমই আছিস।ফাজিল !
-- সে না হয় বুঝলাম। কিন্তু তোমার বেটার হাফ কোথায়। আশপাশে তো দেখছিনা।
-- তুই যেন আমার বরকে কত চিনিস!
-- বা চিনবোনা? সোশাল মিডিয়াগুলো নিশ্চয়ই এতো আনসোশ্যাল নয়।
-- ওহ্! তুই পারিস বটে! কত্তা মেয়েকে নিয়ে সামনের ওই আইসক্রিম বারটায় ঢুকেছে।
-- তুই গেলিনা?
-- ভেতরের এসিটা বড্ড কড়া। সহ্য হচ্ছিলনা। তাই বাইরে দাঁড়িয়ে আছি। বাপ-বেটি
মিলে যা করছে করুক।
-- বাব্বা ! তোর তো অনেক পরিবর্তন হয়েছে দেখছি। আগে তো শীতকালেও লেপ মুড়ি দিয়ে এসি চালাতিস। মনে আছে?
--থাক ওসব কথা। তুই বিয়ে করিসনি?
-- মেয়েরা এতো অভিনয় করতে পারেনা! সোশ্যাল মিডিয়াগুলো এতটা....
--- জানি জানি আর বলতে হবেনা। কিন্তু করিসনি কেন? বলিসনা যেন আমার মতো কাউকে পেলিনা বলে!
--তুই না বললে সেটাই বলতাম ( হাসি)
-- ফাজিল একটা
-- আচ্ছা, এতো দিনে তোর কখনো কথা বলতে ইচ্ছে হয়নি?
-- কখনোই না।
-- একবারও মনে হয়নি পুরনো গল্পগুলো মন খুলে করি?
-- মোটেই না মোটেই না
-- তাহলে এভাবে রাস্তায় দাঁড়িয়ে আমার জন্য অপেক্ষা করছিলিস কেন?
-- বা রে ! বললাম না ওরা আইসক্রিমবারে
ঢুকেছে।
-- মিথ্যেটা এখনো ঠিকঠাক রপ্ত করিসনি তুই
-- মানে?
--তুই যে আমাকে অনেক আগেই দেখেছিস সেটা আমি জানি
-- আর কি জানিস শুনি!
-- জানি তোদের ডিভোর্সের কথা। আর জানি কোর্টের নির্দেশে প্রতি শনিবার তোর মেয়ের সাথে প্রাক্তন স্বামীর
দেখা করার কথা। এই যেমন আজকে। তাই না।
ভালো থাকিস তোরা দুজন।
শোভন মণ্ডল