দু’টি কবিতা
অতিথি
ঘুম থেকে
উঠেই অতিথি শব্দের দ্বারা আজ আমি ভীষণভাবে
আক্রান্ত।
কিন্তু
মুহূর্তেই প্রবেশ ও প্রস্থানের সময়কালের সঙ্গে
নিঃসঙ্গতার
চিত্রকল্প রচিত হতেই—
আমি
প্রত্যেকের রক্তমাংস আর পারস্পরিক সম্পর্ক-শৃঙ্খলের দিকে
অপলক চেয়ে
থাকি।
আর কী সেই
আশ্চর্য—
গোপন
শস্যক্ষেত, শব্দ-সংকেত, কৃষক, কুমোরটুলি, ব্রহ্মকুণ্ড—
সমস্তই ঝলসে
ওঠে বিদ্যুৎপ্রভার মতো!
আত্মজ
শব্দটিকে আড়ালে রেখে খুব ভাঙচুর শুরু করি
আর ছায়ার
রূপান্তরকরণে এতটাই হতবাক হয়ে যাই,
আমি আমারই সঙ্গে
করমর্দন করি মুহুর্মুহু।
—অতিথির
পরিবর্তে ভ্রামণিকের একটা পোশাক টেনে নিই শূন্যে;
ওয়াড্রোব
থেকে।
আক্ষেপানুরাগ
এই জন্মে
তোমাকে আর আবিষ্কার করতে পারব না আমি।
কোথায় তোমার
ঘাস মাটি জলা-জঙ্গল শ্যাওলা—
কোনও ভাবেই
জানা সম্ভব নয়। জরুরিও নয়।
পুরুষের এ এক
দোষ। জানোয়ার জেনেও নিজেকে
বাঘ ভাবতে
ভালবাসে।
আর তোমরা
সকলে গহন স্বপন সঞ্চারিণী...
এই জন্মে এই
অবেলায় তোমার সঙ্গে দেখা হওয়া মানেই
পাহাড় থেকে
গড়িয়ে পড়া লাভা-স্রোতের সামনে মাথা উঁচু করে
দাঁড়িয়ে
থাকা।
বারবার
দহন-দগ্ধ হওয়ার প্রবল বাসনা।
অথচ সে-সব কী
ভাবে সম্ভব!
তোমাকে
দেখামাত্রই আমার পৃথিবী ও সূর্যকে
বগলদাবা করতে
ইচ্ছে করে।
কারণ এগুলির
সঙ্গেই সময়ের সম্পর্ক।
একটু এ দিক-ও
দিক করে যদি নিজেকে বাঘের চেয়ে
সিংহ করে
তুলতে পারি!
পাঠক, ভাববেন না আমি জান্তব-জিঘাংসায় মত্ত।
আসলে তারুণ্যের
তেমন কোনও উপমা এই মুহূর্তে হাতের কাছে নেই।
তাই
পক্ষিরাজের পিঠে চড়ে,
তোমাকেও
সঙ্গে নিয়ে আমি উড়ে চলি গ্রহান্তরে,
কক্ষপথে।
আর ক্রমাগত
মাথা খুঁড়ে নির্ণয় করার চেষ্টা করি,
শস্য ক্ষেত ও
খামারের পারস্পরিক-সম্পর্ক, রহস্য।
চিরপ্রশান্ত বাগচী
0 মন্তব্যসমূহ