দুটি কবিতা
১
সূর্যাস্তের মাটি
আত্মার গোঙানিতে ফেটে যাচ্ছে ঈশ্বরের গর্ভ
পুরনো পাউরুটির গায়ে হামাগুড়ি দিয়ে ওঠে একটি প্রথম
জীবন
পাথরে লেগে অনন্ত তরঙ্গে ভেঙে যায় তার স্বপ্নের
ভারসাম্য,
তারই একটি খর তরঙ্গ ছুটেছে তোমার দিকে
মৃদু কম্পনের ভেতর সমস্ত বিস্মৃতি, ধীর
চিত্রকল্পের মতন
তাড়া করে – শীতার্ত ভ্যানের ভেতর পালক ওপড়ানো ছন্দময়তা
বনমোরগের তীব্র লাল ঝুঁটিকে লক্ষ্য ক’রে অযুত
শিবির
ব’লে চলে প্রতিটি নামের উৎস
চড়ুইভাতির ধূসর বস্তিগুলি ঘুমে কেমন কাদা হয়ে আছে
চাকার সামনে কুঁকড়ে যায় লক্ষ রতি-অরণ্যের
অন্নঘ্রাণ
দূরে পড়ে থাকে মত্ত ধোঁয়ার বাসর
২
আকাশের হাসি-কান্না
গির্জাঘর থেকে উড়ে আসে নবীন রৌদ্রের থাক
সেনানী শিরস্ত্রাণে পড়ে আছে কবেকার সোনারং
দূর রামধনুর টিপ আর ধূসর তারার আঙুল
প্রণীত নদীর খোঁজে খুলে দেয় লৌকিক দর্পণ
ধীর মোড়ক থেকে সৃষ্ট দিগন্ত-বিস্তৃত ষড়ৈশ্বর্যে
সহস্র বছরের পাঠশালায়
প্রথম মুখচ্ছবির মতো মনে পড়ে –
লক্ষ আলোকবর্ষের ধ্যান
তুমিই প্রাচীনতা,হুলুস্থুল ব্যাধ,আন্তরিক জ্যা
অগণন সন্ধ্যার কপিশ স্তনে আনত, প্রথম বিভেদ
অবোধ পাড়া-গাঁয়ের অবয়ব ঠেলে
উজাড় হওয়া কোনও মহাবিশ্বের দিকে
আমাদের ঘুম ছোঁয়া শৈশবের ফলন ছায়ারা পাড়ি দেয়
3 মন্তব্যসমূহ
দুর্দান্ত। দ্বিতীয়টি অনবদ্য।
উত্তরমুছুনঅসাধারণ দুটো কবিতা পড়লাম দাদা
উত্তরমুছুনশান্তরসের কবিতা দুটি ভালো লাগল।
উত্তরমুছুন