এবং সইকথা ওয়েবজিনের ত্রয়োদশ সংখ্যা (চতুর্থ বর্ষ) অর্থাৎ মার্চ,২০২২
বিশেষ সংখ্যা “নতুন বইয়ের গন্ধ”
সম্পাদকীয়
'নতুন বইয়ের গন্ধ’
পত্রিকার প্রচ্ছদ
ভাবনাকেই যদি সম্পাদকীয়র বিষয় করে তুলি ?
সবাই জানেন, সবাই
মানেন, এবং তাই হয়ত নতুন কিছু নয়। তবে মানুষ
যেমন প্রতিদিন নতুন হয়, পাঠক প্রতিদিন নতুন হয়, তেমনি বইও নতুন হয়। মধুর আদিম রস, কিন্ত
প্রতিদিনই নতুন।
কবিতা গল্প নাটক
মায়াবি রহস্য নিয়ে হাজির হয়। সংবাদের কঙ্কাল কবির কল্পনা-প্রতিভায় সাহিত্য হয়ে ওঠে।
আমরা চমৎকৃত হই। এই চমক শুরু হয়, হয়ত বই হাতে নিয়ে, পাতা খোলার সঙ্গে সঙ্গে, পাঠে
প্রবেশের আগেই। নতুন বইয়ের গন্ধে। অপার্থিব গন্ধ লিখতে গিয়েও থমকে যাই, একান্ত ভাবেই
ভালোবাসাময় পৃথিবীর এই গন্ধ। রচনায় প্রবেশের আগেই এই গন্ধ পাঠককে টানে । পাঠের সুখ
নেই, কিন্তু সুখ হতে পারে - এই রোমাঞ্চ আছে। একজন লেখক নিজের নতুন বইটি, আর একজন পাঠক
একটি নতুন বই কিনে নাকে চেপে ধরেনি এমন মানুষ কি পৃথিবীতে আছে ?
আমাদের মধ্যবিত্ত
পরিবারে নতুন ক্লাসে উঠলে পাঠ্য পুস্তক আগের ক্লাশের দিদিদের কাছ থেকে অর্ধেক দামে
সংগ্রহ করতে হতো । ( আমি আটের দশক বা নয়ের দশকের কথা বলছি। ) কিন্তু তার মধ্যেও কয়েকটি বই নতুন কিনতে হতো । বছরের শুরুতেই সে সব নতুন বইয়ের প্রতি যেন আলাদা ঝোঁক থাকতো । পুরানো দাগ দেওয়া বইগুলোকে
আপন করতে কিছুটা সময় লাগত । কিন্তু পরে বুঝেছি অনেক পুরনো বই (সংগ্রহ যোগ্য
), তার আলাদা কদর । মিথ হয়ে যাওয়া বই… প্রাচীনতার
গন্ধ লেগে থাকে যে বইতে। হতে পারে কিছুটা উইয়ে কাটা কিংবা ছেঁড়া অথবা ঝুরঝুরে
। হতে পারে লাল শালু দিয়ে মোড়া । প্রাচীন পুঁথির কদর তো আমরা সবাই জানি যে সেগুলি কীভাবে
একটা যুগের সাথে আরেকটা যুগের সেতু বন্ধন ঘটায় । আসলে নতুন কথাটি তো আপেক্ষিক । কিন্তু গন্ধ…
ওই বইয়ের গন্ধ …।
অপঠিত বই যা আমার হাতে এলো তাই তো নতুন বই । আসলে গন্ধটা
পাঠ অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যেতে যেতে আমাদের মনকে আবিষ্ট করে তোলে । আমাদের সামনে নতুন
দিগন্ত খুলতে খুলতে সে যায় । মেধা মনন- এর মাধ্যমে তাকে আমরা আত্মস্থ করি এক একজন একেক
ভাবে ।
আমাদের এবং সইকথার ত্রয়োদশ অর্থাৎ মার্চ.২০২২ (চতুর্থ বর্ষ), বিশেষ সংখ্যা 'নতুন বইয়ের গন্ধ' প্রকাশিত হল। সঙ্গে অন্যান্য নিয়মিত বিভাগ। প্রিয় পাঠক আপনারা পড়ুন এবং মতামত জানান।
৩১.০৩.২০২২
4 মন্তব্যসমূহ
খুব ভালো উদ্যোগ!
উত্তরমুছুনধন্যবাদ দাদা
মুছুনএই মন্তব্যটি লেখক দ্বারা সরানো হয়েছে।
উত্তরমুছুনদূর থেকেই মায়াময় গন্ধ নাকে এল।
উত্তরমুছুন