তিনটি কবিতা
ভিজতে ভিজতে সারাজীবন ছোট কথা বলেছি।
মরাগঙ্গায় স্নান হলে ক্ষিপ্রগতি ঘোড়ারা
ছুটির বাঁক ঘুড়ে গেছে।
ধূর্ত ঘুঘুরা মিথ্যে কথা বলে।
অন্দরে যেতে হলে এক সাড়ি গাছ ,
নাহলে গ্ৰহণ লাগে সূর্যে ।
আত্মস্থ আমার পথে নির্জনতা ভিড় করে
পত্রহীন পৌর - তাই সবুজ কলপ।
আপাতত আমিই বা বসে থাকি কেন!
হিসাব দিতে হলে বিনিময় প্রথা আমার।
মরি- বাঁচি যাই হোক
আপাতত ওদের চাই।
সময়ান্তর
তোরা কেন চলে যাস্ জীবনের ভিতর?
আমার অনেক কথা মৃত্যু হয়ে জীবন হাতরায়।
আর তুমি!
চলে যাও, সমতলে সরল সিদ্ধান্তে।
কামনা অনুসারে ইচ্ছেগুলো রাত আগলায়...
মলাটের ওপর লালপাতা
অথচ,
আমার ব্যথারা কান্না হয়ে শোনে
পাহাড়ের গান।
প্রতিবিম্ব নেই।
পারো তো নিষিদ্ধ করে দাও আমার সমস্ত ভালোবাসা।
চংক্রমণ
ঘরবাড়ি চুপ্পুস করে ভিজে যেতে দেখে রবিউল।
বীজময় রাত্রিতে ধানক্ষেত সাধনক্ষেত্র।
কাঁদতে কাঁদতে চোখ বুলায় রবিউল।
ঠিক যেমন বারান্দার লোভ ছিল আমার
আজীবনের,
রবিউলের ছিল বসতির লোভ।
ঘরের লোভ বড়ো বেসামাল হে
অক্ষৌহিণী বৃষ্টিরেখা সীমান্ত পেরোচ্ছে।
ফোটোগ্রাফারের সামনে বসা সুন্দরী মেয়েটা