বাপ্পাদিত্য রায় বিশ্বাস
তারপরে আমি কখনও কিচ্ছু খুঁজিনি
হলে ধূলাউড়ি ভয়েও দু চোখ বুজিনি
হাওয়া কিছু পাতা উড়িয়ে
নিজে থেকে গেছে থিতিয়ে
পাতা কুড়িয়ে কে আগুন পোহালো দেখিনি
আর কোনও ভোরে পাখি ডাকলেও উঠিনি
আলো কাড়াকাড়ি ঘাসবুক চিরে ছুটিনি
সূর্য নিজেকে পুড়িয়ে
আকাশ দিয়েছে ফুরিয়ে
আমি বসতির টানে বাজারের রকে জুটিনি
আবার আষাঢ়ে ছায়ায় ভুলেছে মেদিনী
স্বপ্নের স্রোতে কত দেহ জুড়ে তটিনী
প্লাবনের ঢেউ উজিয়ে
কূলঘাট গেছে মিলিয়ে
পলি দিয়ে কে যে আল ভরে নিল বুঝিনি
ভুলেও তোমরা এ ঘাটে বেঁধো না তরণী
গাঁ জুড়ে কোনও ঘরেতেই নেই ঘরণী
পারানির কড়ি মিটিয়ে
পাটনী দিয়েছি ফিরিয়ে
এতদিনে বুঝি নিমরাজী হলো ধরণী