১ জ্যা
স্রোতের পাশে শরীরে
বল্কলে
কুয়াশা আর রাত্রিটুকু
জ্বলে।
তরল স্রোতের উদ্দীপনা
থেকে
সময়সীমা একটু কি যায়
বেঁকে?
বিবাহ, এই ষোলো বছর কাল
ঊর্ণা বোনে,ঊর্ণা বোনে
জাল।
দিনকে ডেকে রাত্রি
বলে,জাগো,
সেই তো কবে বাইরে থেকে
এলে?
রাত্রিজাগা আগুন
বলে,মাগো,
নিভিয়ে দাও একমুঠো জল
ঢেলে।
ফুরোয় বুঝি জলের ভেতর
জল।
আগুন তবু আগুনে চঞ্চল।
সময়টুকু আগুনে ঝলসানো
হয়তো পরমান্ন খেতে
দ্যায়।
সাংসারিকের বৃত্তে আঁকা
জ্যা
খতিয়ে দ্যাখে মানবী আর
মানব।
২ বেলপাহাড়ি
হাজার বোবা চক্ষু এখন
ঘরে ঘরে
প্রশাসনিক নিষ্ক্রিয়তা
লক্ষ করে।
উপেক্ষাতেও প্রাণপ্রবাহ
যায়নি থেমে,
টিঁকে আছে; পড়তে পারে
যুদ্ধপ্রেমে।
লোকচক্ষুর আড়ালে যে
সমাজসেবা,
স্পষ্ট ফুটে উঠছে
বুনোগন্ধে এবার;
বেলপাহাড়ির জঙ্গলে সেই
মদের ঠেকে
অবিভক্ত সময় একটু
যাচ্ছে বেঁকে।
অনুভবের দোষ দিও না
আগেভাগে।
পোশাক-আশাক সামলে নিতেও
সময় লাগে।
কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে
এই ইতরও।
মনে থাকবে মধ্যরাতের
জ্ঞানবিতরণ।
মদ দিয়েছো স্পষ্টকথা
অবিস্মরণ।
বিনির্মাণে ধৈর্য্য এখন
একটু ধরো।
একটু কিন্তু খুব বেশি
নয়, স্তব্ধ এ-রাত
যুদ্ধ, শুধুই যুদ্ধ তো
নয় ছায়ার প্রপাত।
৩.ঘুমিয়ে আছি
ধরো তোমার বনের পাশে
উপুড় হয়ে ঘুমিয়ে ছিলাম।
গুচ্ছ গুচ্ছ ঘাসের নীচে
শেকড় হয়ে ঘুমিয়ে ছিলাম-
অবহট্ট ভাষার মতো
স্বাধীন নয়তো অল্প একটু
ভাঙাচোরা।
সুদূর থেকে অন্ধকারে
দুহাত তুলে ডাকছিলো কে?
আবছা আলোর নির্জনতায়
আলতো ছুঁয়ে ডাকছিলো কে-
স্পষ্ট কোনো ছায়ার মতো
প্রসঙ্গহীন পরাবাস্তব।
উৎস থেকে উৎসে ফেরা
ঢেউয়ের আঘাত শূন্যে তুলে আছড়ে দিল বাইসাইকেল
অর্ধরাতে পদ্মফুলের
পাপড়ি যেন পাহাড়প্রমাণ
নৌকো হয়ে সঙ্গ দিল
বহিত্রকে
ইতিহাসের ছাত্রী হাতে
চাবির গোছা
চাবির রিঙে
ছুটন্ত এক হরিণ আঁকা
স্পটেড ডিয়ার
হাসতে হাসতে সহজ মুখে
বাইসাইকেল সামলে নিল
ঘুমিয়ে ছিলাম, ঘুমিয়ে
আছি।
৪.সাধারণতন্ত্র
সুগভীর
অবাঞ্ছিত কোনো রাতের উল্লেখে
খুব প্রিয়
সুন্দরের বুক পীড়িত হতে দেখে
হয়তো-বা
দু-হাত আকাশেও দাঁতের বন্দিশে
চুপচাপ
বাতাসে ভর দিয়ে বাতাসে যাই মিশে।
ডানা মেলে
আবার কখনোবা সাহসে জেগে উঠি:
প্রসারিত
দু-হাত দিয়ে কষে ধরি-ও চুলমুঠি;
একরোখা
আবেগে টানটান ছিলার মতো প্রায়
নড়বড়ে
পুরনো ঘর ভেঙে নতুন গড়ে যাই।
আজকের
সুরক্ষিত এই তন্ত্র সাধারণ
বারবার
নিজের দিকে শুধু টানছে দেহমন;
দুচোখের
সামনে দিয়ে তবু ক্রমশ অতি ক্ষীণ