ভোর-রাতের স্বপ্নে তোমাকে দেখলাম
শান্ত, সৌম্য, পিঙ্ক কালারের করবী
অন্যদিনের মত ঘৃণার আয়োজন রাখনি
প্রত্যাখ্যানকে আরও ধারালো করার জন্য
পাথরের গায়ে ঘষে ঘষে
জলের খরতা বাড়াওনি
কার্বোলিক এসিড ছড়াওনি চৌহদ্দিতে
ভোরের স্বপ্ন নাকি সত্য হয়
তা যদি হয় , যদি ওইরকম করে
আমার সমস্ত চর্মরোগের জ্বালায় মলম লাগিয়ে দাও
পৃথিবীতে অসুখ বলে আর কিছু থাকবে না
সত্যি যদি সত্যই সত্যের মত হয়
আমার দূরত্ববিহীন দূরত্বকে শরীরে মাখো
তাহলে দেখো , নিশ্চয়ই
মারবার মত সাহসী হয়ে উঠব আমি
যে জল পান করোনি
অনেক মানুষই ইদানিং ঠিক করে নেয়
মনের মধ্যে রাখার জন্য কোন কোন বিষয়ে টিক মারবে
তুমি তো তেমন অনুকরণ প্রবণ নও
তাই কেবল ক্রস দিয়েছ একটি বিষয়ে
যার মুখের উপর ক্রস পড়ে গেল
যার বুকের উপর তরবারির দুটি সঞ্চালন
পরস্পরকে ছেদ করল
সে কি অপঠিতই থেকে যাবে
একাকী ঘুঘুর বিষণ্ণ দুপুরটুকু নিয়ে
অনেক মানুষই ইদানিং অভিনয়ের সময়ও
দুএকবার চুম্বন করে
মুমূর্ষু রোগীর জন্য , সেটুকুও, বিশল্যকরণী
জল তোমার বাড়ির পাশ দিয়ে যেতে যেতে
কালো হয়ে গেল
সে খবর কেউ জানতে পারবে না
কথা দিলাম
আহুতি
প্রতিদিনই তোমাকে আমার সর্বনাশের খবর
জানাতে চাই
যাতে তুমি একটু খুশি হতে পারো
কিন্তু তেমন কোনো সর্বনাশ ঘটে না আমার
চিতা আমাকে ফিরিয়ে দিয়েছে সস্নেহে , বলেছে
বাড়ি যাও
নুন, চিনি , পাতিলেবুর জল খাও
মর্গের ডোমও আমাকে অনুরোধ করেছে
যেন সেখানে ভীড় না বাড়াই
ওরা কেন বোঝে না
আমার ক্ষতি হলে তুমি তৃপ্ত হবে
ভালোবাসতে জানে না বলে হয়তো
গুটি কেটে বার হইনি আজও
বরাদ্দ ডানাগুলো ধুলোয় পড়ে নষ্ট হচ্ছে