মূল ওড়িআ কবিতা : মমতা দাশ
অনুবাদ : প্রদীপ কুমার রায়
বাঁশি
তারা কথা বলছিল বাঁশির বিষয়ে ।
লোহা, কাঁসা,তামা,রূপো , বাঁশের
এমনকি সোনার তৈরি বাঁশি
বাঁশির নানা সুর , ধ্বনি , রন্ধ্র ,
কুহুক বাঁশি , ভাঙ্গা বাঁশি ,
মধুর বাঁশির সুরের বিষয়ে ।
কেউ বলল বিশ্বের প্রসিদ্ধ বাঁশি বাদকের
নাম ,গ্রাম
, ঠিকানা , জীবন কাহিনী আর
পাগলামির খবর ।
বাঁশি ?
আমার প্রশ্নে
আমার হাড়ের গভীরে আঘাত লাগে
খুলে গেল জংধরা কপাট
দেখলাম এক অপরুপা তরুণী
তরতর, এলোমেলো
চাঁদ আঁধার রাত, হাতে বাঁশি ।
আমার চিত্-চক্রবালে
উঠে আসে কদম্বের সূর্য
আমার ফুলদানির কৃত্রিম ফুলের উপর
বসে ঝলমলে প্রজাপতি ।
কলিং বেলের কুহু কুহু কোকিলের সুর
ঠোঁটের মধু মাখা আমার হাতের পাতাকে
মুঠো করে দেই আমি
আঁচলে মুছে দেই লুকানো চোখের দৃষ্টি ।
আমি তাদেরকে বলবো আজ
বাঁশির কথা , সেই দিনের কথা ?
বলবো , আমি
আজীবন জেনেছি একটি বাঁশির সুর
দেখেছি , একমাত্র
বাঁশির বাদককে
এক বিশ্বময় বিশাল রাতে জোছনাঝরা আলোর নিচে
নিলজল বিস্তারের কূলে কূলে
সে কেবল আমার জন্য বাজিয়েছিলো বাঁশি
মাত্র একবার ।
সেই মুহূর্তে
আমার পৃথিবী বেঁচে উঠেছিল যে
বারবার প্রয়াস করেও তারপরে
আত্মহত্যা করতে পারিনি কবে ।
যা ঘটেছিল সেই রাতে
অভিনীত হয়েছিল যা চিরকালের রঙ্গমঞ্চে
আমি কি আজ আবার সেই দিকে
বাড়াতে পারবো আমার আঙ্গুল ?
*********
প্রদীপ কুমার রায়