সাম্প্রতিক

6/recent/ticker-posts

শুভঙ্কর দাস




 তিনটি কবিতা

শেষ পংক্তির কাছে

এক একটা মানুষকে দেখলে
মাথাটা নত হয়ে যায়!
আবার এক একজনকে দেখলে
বুকে ফুটে ওঠে ক্ষত!
এরকম কেন হয়? অবিরাম,অবিরত!
কিছু মানুষ যেন অনুর্বর অকেজো ঢিলা,কিছু মানুষ একেবারে তারই পাশে শালগ্রাম শিলা!
কে ফিরে আসে?
ঈশ্বর মানুষ হয়ে নাকি মানুষ ঈশ্বর হয়ে...
রক্তমাংসের ঘরে?

এক সের ঘটিতে কি চার সের দুধ ধরে?


 শরণাগত 

কার কাছে হাত পাতবে?

জগৎ কোনো এক পরমান্নরঙের আকাশের গায়ে হাত জোড় করে বসে আছে
সেই এক অলৌকিক স্থানমাহাত্ম্যের সমুখে...
অযোধ্যা বা বুদ্ধগয়া নাকি মক্কা-মদিনা অথবা  দক্ষিণেশ্বর 

শুধু কি বুদ্ধিশুদ্ধির জোর!
লীলাখেলার ভেতর ধর্ম,অর্থ, কাম,মোক্ষ 
পড়ে আছে মরিচাপড়া তলোয়ারের মতো
ঘুমন্ত চোখের চারপাশে মাখনের মতো ভোর...
যদি ঘুম ভেঙে যায়
কার কাছে হাত পাতবে?

যখন দেখবে,সমগ্র বহ্মান্ড একটি ভিক্ষার মুদ্রায় জেগে আছে,অনন্তকাল...


ফুলের আয়না


সুদীর্ঘকাল বয়সের মধ্যে একটা লুকিয়ে রেখেছিলাম এক অনুচ্চারিত স্পর্শরেখা...

আমি বুকের মধ্যে ছাদ আঁকি
আমি সুখের মধ্যে নিঃশব্দে কাঁদি
আমি বাসার মধ্যে নীরব বিবাগি!

এইভাবে নৌকার অভিমুখে বসিয়ে রেখেছি সহস্র প্রতিকূল, ছায়া আর একটি জলীয় প্রেমের গল্প

কিছু বলি না
কিছু চাই না
কিছু পাই না কি!

রোজ ফুলগাছের কাছে বসে মনে মনে একটা মালা রচনা করি,করতেই থাকি রাত্রি- দুপুর- সকাল- ভোর

এইটুকুই অধিকার , এইটুকুই সমর্পণের জোর!