দুটি কবিতা
জাতিস্মর
(১)
সিক্ত অবক্ষয়ে মাৎসর্য,
ক্ষমা করেছ?
একটাই তো আসন, কোথায় বা
রাখি
অনাবৃত মুক্তো, হাতের
পাতায়...
ঘোর লেগে তৈরি--- বহতা
প্রবালে---
সন্ধের ভরসায় একা, ঠিক
পাপবিদ্ধ নয়
তবু সহনের সীমা---
হা-ক্লান্ত,
মেহেরুন্নিসার গালে
তিলের আকারে আঁকা
নিশিদুঃখ...
বেঁচে উঠছ তার
ছোঁয়ায়--- জাতিস্মর হয়ে!
(২)
স্বৈরিণী নির্জলার মতো
গতমাভিসার...
বাজুতে বন্ধন, কণ্ঠ শিতি-কালো
এ ভুল আমার!
আমি কি বলেছি খুলে দাও
কবচ আর কুণ্ডল,
জয়ী হই প্রেমে?
দগ্ধাই, পোড়া গায়ে চাতক
খুঁজে আনি?
মর্ত্যফুল না ফুটুক,
আশীবিষ দংশাক--- ব্যথানিরোধক?
সরে যাব আরও
(১)
যেভাবে ভালোবেসেছি--
ক্ষত থেকে অনুরাগ ঝরিয়ে
তোমার শুধু রাগ বিঁধেছে
বুকে?
(২)
আসলে তীব্র স্রোতস্বিনী
অধরাতে থেকে যায় মিথ্যে
শাবক
জন্ম নাও, দেবতা আমার!
(৩)
তোমার মন্দির হবে
জলশূন্য কেতকী আর কালের
মন্দিরায়,
আমি বলেছি শুধু,
দীর্ঘায়ু হও।
(৪)
আমার সব কথা এত গায়ে
লাগে!
বুক ভেঙে চলে যায়
অন্তঃস্থলে
ছোঁয়াচ বাঁচিয়ে দ্যাখো—
আগুনের মতো
(৫)
জ্বলে উঠব— বেদনার কথা
কেই বা কী জানে!
শীতার্ত ভরা মাঘ, পৌষের
হিম
নিরালম্ব ভেসে থাকি—
ধূমকল্পজাত
(৬)
এভাবে না বলে কি চলে
যেতে হয়!
বিবাহের পথে?
মহাভিনিষ্ক্রমণ?
অবশ্য নিয়তির হাতে
পুতুল সবাই।
(৭)
আমিও থাকব না— অতর্কিতে
সরে যাব আরও
আরও চর্চিত চন্দনে
ভিনগাঁয়ে— গজলতুল্য—
অবন্তিকার দেশে...