দিগন্তে
শুকতারা
মেঘলা
দিনের
দুঃখ
মাথা
ছাড়িয়ে
একবারে
আকাশ
ধরে
ফেলে
আর
তখনই
চোখে
পড়ে
যায়
মায়ের
রেখে
যাওয়া
সবুজ
নদী
গতকাল
সারারাত
বৃষ্টি
হয়েছিল
আজ
সকালে
সে
জল
সাদা
রঙে
অন্য
ঘরে
সারাজীবন
যে
জল
গুছিয়ে
রেখেছে
মা
আজও
তার
সমীকরণ
সকলের
কাছে
অপঠিত
।
উঠোনের
ধান
ভারতের
ম্যাপের
মতো
সারা
দেশ
জুড়ে
ছড়িয়ে
আছে
একটু
একটু
করে
গাছের
গা
থেকে
সরে
যাচ্ছে
আলো
ভালো
করে
ধান
পড়া
যায়
না
উপোসী
দিনের
মতো
মেঘলা
সকাল
হাত
পা
ছড়িয়ে
সারা
বাড়ি
জুড়ে
ছড়িয়ে
আছে
মায়ের
রেখে
যাওয়া
অঙ্ক
রোজ
নদীর
কাছে
নিয়ে
যাই
আমি
ঘুম
থেকে
ওঠার
আগেই
নদী
হেঁটে
গেছে
পাড়া
রোজ
মাটিতে
গর্ত
খুঁড়ি
আর
বলি ----- ভুলে
যাব
ঘুম
কতদিন
গাছের
দিকে
তাকাই
নি
মন
থেকে
কোথায়
হারিয়ে
গেছে
বন্ধুর
চোখ
নদীজল
এ চোখ
তো
নেবে
না
এ চোখে
ঘুম
ছাড়া
আর
কিই
বা
মানাবে
সকাল
মানে
নদীর
উৎসপথের
উল্লাস
দুপুর
মানে
ক্ষণে
ক্ষণে
পাহাড়
ভেঙে
বাঁকে
বাঁকে
বিকেল
মানে
আলপথ
ধরে
রাখালিয়া
বাঁশি
সন্ধে
মানে
জল
ছড়িয়ে
চাঁদঘরে
খোয়াইয়ের
পাড়
মা, তোমার
নদীজলের
কাছে
পায়ে
পায়ে
আসি
দেখি
এখনও
কত
দূরে
জল
সব
হাঁটা
তুলে
ধরলে
পৌঁছে
যেতাম
যেকোনো
দেশ
তবুও
এপথ
হয়
নাকো
শেষ
দিগন্তে
তাকিয়ে
দেখি
শুকতারা ----- বসে
আছে
মা
।