দুটি কবিতা
১
শরীর প্রাচীন শহর
এখানে অনেক পাথর
আকাশে কঠিন আলো গুলো সহজে জ্বলে ওঠে
অন্ধকার কাদার ওপর দিয়ে ছুরির ধারের মতো এসে পড়ে জলের ওপরে
আর মরা মানুষ একবার নড়ে ওঠে
জীবন এই রকম
নৃশংস হত্যার সময়কে নিয়ে একটি ঘরের তৈরি
দুটো রাস্তা ফিরে গেছে দুটো মানুষের মতো
দুপুরের সংসার
ভেঙে পড়ে আছে গাড়ি
না দেখা শূন্য
একটি পালকের আশ্চর্য পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘুরছে
ঝিঁঝিঁর স্বরলিপি
আমাদের যাতায়াত বিরহের মতো
ফাঁকা মাঠের উদাসীনতায় বিলুপ্ত হয়ে গেছে বিকেল
সন্ধ্যা নেমেছিলো নদীর ঘাটে
দিগন্তে গাছের মেঘ
আর আমাদের জরাজীর্ণ প্রার্থনা
শেষপর্যন্ত একটি দীর্ঘশ্বাস উড়ে গেলো
অনন্ত অসীম
শরীর প্রাচীন শহর
এখানে পাথর চেয়ে থাকে
আর আকাশে আলো গুলো জ্বলে ওঠে
২
পথিক স্তম্ভ
পথিক স্তম্ভ ভেসে যায়
আমি কিছু জানি না
সন্ধ্যা নামছে
অন্ধকার কাগজ
দোকান পুড়ছে চাঁদ
প্রাচীন ধূপের গন্ধ
পিতলের স্টেশনে ঘন্টা বাজছে
হাড়ের তৈরি শূন্য
পৃথিবী উড়োজাহাজ
জানলায় মেঘ
বৃষ্টি পড়ছে আলো
রাত্রি কাল
সোনার বাক্স
কবরগুলো নিজে থেকে খুলে যায়
ভেতরে নদী
পথিক স্তম্ভ ভেসে যায়
গোলাম রসুল