তিনটি কবিতা
১
কেন মধ্যরাতে শুকনো
লেপ খামচে ধরেন
সারাদিন গোঁসাবাজীর প্রকৃত কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখি ডুমুর গাছের পিছনে দৌড়াচ্ছেন
পঙ্গপালের মত রক্তাক্ত চপ্পল থেকে ধেয়ে আসছে
গুন্টার গ্রাস।
আপনার বিস্তৃত সালোয়ার থেকে উড়াল দিচ্ছে সাইবেরিয়ার তিতির।
আপনি ছাড়া তার ডানার রং কেহ জানেনা।
২
আপনি কী ঝগড়ুটে
কারো প্রতি চাপা প্রেমানুভূতি আছে।
তা হতেও পারে তা একই লিঙ্গের।
মক্কা গাছে ফুল এলে টিয়া পাখিদের মন্থরা হয়ে ওঠেন।
এবার বলুন কোন স্টপেজে নামালে বেস্পতিবারের ধুনো ঠিকঠাক গোল্লা পাকাবে।
হতে পারে আপনার মশারীটিকে শূশ্রূষা না দেওয়া হেতু আপনার কারুচিন্তা কিঞ্চিত
বিঘ্নিত।
তাহলে কামান দাগা নির্ভেজাল প্রেমিকটির সাথে
মাঝ রাস্তায় ঝগড়া জুড়ে দেবেন।
ওই যে আয়না দেখছেন
তোতলা পুরুতকে মাইক্রোফোনের কাছে নিয়ে
আপনি কি বলাতে পারবেন
আমি আপনাকে ভালবাসি।
তাহলে জেনে নিন হিমাচলের সব আপেল বৃক্ষ
আপনার সামনে নতজানু হয়ে
আজীবন খিদমদগারিত্ব যাচ্ঞা করবে।
৩
দিনে পাঁচটা সারিডন খাওয়ার পরও
স্বপ্ন দেখার ঘোড়া রোগের কোন নিরাময় হলোনা।
অতঃপর ধুনুচি গাছের নিচে হাড়গুলোকে
প্রায়শ্চিত্ব করার জন্য ডাকা হলো।
প্রধান মেরুদন্ডটি তখনও মন্ত্রণাকক্ষশালে
কাত হয়ে কি এক মহৎ উদ্ধারে ব্যস্ত।
আমি কুশেরুকা কুশেরুকা বলে ডাকলেও
দু'বার লেজ নেড়ে আবার নীল গোলাপে মগ্নতা
পরিবেশনে বুঁদ।
এখন শেষ সারিডন
খাওয়ার আগে
রামনাম উচ্চারণ করতে গিয়ে দেখি
জিহ্ববা সিগমুন্ড ভাইরাসে আচ্ছন্ন।
আমার কি হবে গো।
চিরঞ্জীব হালদার