শুভঙ্কর তুমি নিশ্চয়ই কাওকে বল নি, শুভ্রা
কে ও না-- আমাদের সেইসব দিন-রাত্রির কথা।
সুবর্ণ বিলের পাড়ে আমাদের
সেই আড্ডা,
তামাক পোড়ানোর দিন, সেই
বেকারযাপন
টগবগে রক্তে নেশা চারিয়ে
দেওয়ার দিন।
প্রতিটা মুহূর্তে ইচ্ছে
করত বারুদের মতো ফেটে যাই
আঙুলে আঙুল রেখে গুণতাম, আমরা
মরে গেলে
এ পৃথিবীতে কে কে কাঁদবে
আমাদের জন্য!
তারপর আড়মোড়া ভেঙে তুমি বলে উঠতে
স্বপ্নের কথা, রাত
জেগে লেখা স্ক্রিপ্ট।
আজও তুমি কি সিনেমা
বানানোর কথা ভাবো?
এক একটা ঝড় আসে,
উড়িয়ে নিয়ে যায়
যে রোদ্দুর হবে ভেবেছিলো
সে হয়তো
অ্যাকাউন্টেট হয়ে ওঠে, হিসেব
গুলিয়ে যায়
নিজেদের জীবনে। সব কথা
বলার নয় শুভঙ্কর,
সেইসব দিন, সেইসব
রাত লুকিয়ে রেখো তুমি।
না হয় কিছু কথা শুধু
দুজনেরই রইল।
সেই শুভ্র জ্যোৎস্না
পুলকিত যামিনী
ফুটেছে গোপন ফুল, আমাতে
আমি নেই।
রেগে গেলে এখনো জ্বলে ওঠো সেইরকম?
আগুনের মতো ছুটে যাও
দাহ্যের দিকে?
এই সোহাগী পুরুষের প্রতি
ছুটে আসা
প্রতিটি উপহাসকে একদিন
যেভাবে পিষে দিতে!
শীতের শেষবেলার রোদ বড় প্রেয় হয়ে ওঠে।
আমরা শরৎ পেরিয়ে শীতকে
ছুঁয়ে ফেলেছি দ্যাখো।
লুকোনো কথা বুকের চিঠিতে
লেখা আছে আজও
নীল খামে তোমার ঠিকানা, যদি
হারিয়ে যাই
একদিন উদ্ধারকারী দল তোমার
কাছেই
পৌঁছে দেবে। ঘর তো করা হল
না, এ জীবনে
তুমি ছাড়া কেউ বুকে টানল
না আর!
রাজদীপ ভট্টাচার্য