সংজ্ঞায় আলোর রেখা
বাসস্টপের ঠিকানাগুলো সব
একমুখী
ডিপো থেকে বেরিয়ে কোথায়
যেন হারিয়ে যায়
রোদ্দুর ভেঙে যেতে যেতে
আবার তাদের ডাক আসে
কোথাও একটা নীলচে কমা তাদের
দাঁড় করায়
কিন্তু তারা তো রেললাইনের
সোজা হাঁটে
সোজার ঠিকানা তো দিগন্তে
শোভা পায়
কে আর তাদের হাতে নিয়ে
পা ফেলে হাওয়া গাড়ি
আলতো করে হাত ছুঁয়ে কথা
ছিল পরে সব কথা বলার
সোজা কথায় বিশ্বাস যা হোক
এখনই বলে ফেলা
তাই কথা সব মোড় ঘুরে বাঁক
নিয়ে নেয়
রেললাইনের সোজা ঠিকানা এখনও
রচনায় আসে
বৎসরান্তে একবার মাত্র ছাত্র
আবিষ্কারের মেজাজে তাকে
ধরে ফেলে
মুখস্থই লিখে ফেলে উদয় থেকে
অস্ত পর্যন্ত
তারপর কোথায় তারা ?
কোনো এক ছুটির সকালে পর্বতের
চূড়ায় দাঁড়িয়ে
সেই ছাত্র আগামীর হাত ধরে
চোখ ছোটো করে দেখায় সেই
সোজা ঠিকানা
অনেক দূরে একটা আলোর রেখা
শুধুমাত্র সংজ্ঞায় ধরা
দেয় ।
হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়