মালতীরা হারিয়ে যাবার পর
একটা আজান থেকে আর এক আজানের মাঝে কি অনেক নদী!
দরমার বেড়া আর সলমা চুমকির ওড়না উড়ে যাওয়া বিকেল !
হলদে আলোয় মালতীর অ আ ক খ শরীরে
রং বেরঙের কবিতা
লিপস্টিকের ঘষটানো রাগ
বুকের কাছে আঁশটে গন্ধের টোপ ।
নিজের বর্ণপরিচয়ে অভ্যস্ত হতে হতেই
হঠাৎ কারা যেন জোর করে ফিরিয়ে দেয়
পুরোনো বাড়ির চৌকাঠ।
চাঁদফুলের ছায়ার উঠোনে ঝুমকোলতার স্নান!
আদুরে দুহাত খুলে চেয়ে আছে ঘর।
তবু কেন অচেনা লাগে!
অন্নসকালের ভাগে যোগের বিয়োগ অংক।
সহোদর কথারা চেনা মেঘের ভিড়ে ধোঁয়াটে পালক।
অভাবেও কি এঁটো হয় মা সর্বনাম!
অতিথির রং মাখে সহেলিবিকেল।
থিকথিকে অভিমানীপোকায় কাটে দিনের চাদর।
ভুলের গুনফলে টুপ টুপ লোনা অভ্যেস।
ভিজে যাওয়া পাশবালিশে শুধুই আমিগন্ধ।
ফিরে আসা আবার নির্মম সমীকরণের ছাদে
যেখানে পতিতাবাতাসে ওড়ে উষ্ণ চালের শরীর ।
ঠোঁটে বুকে অন্ধকারে কারা যেন বুনে দেয়
মরসুমিফুলের বিছানা।
এরাই কি আত্মজন তবে!
মাঝে মাঝে জানলায় উড়ে আসে
পাখিনামে আজানের সুর
দুপুরের ভুলভাল ফ্রকের নামতা
সহজপাঠের হলদে মলাটে গুন গুন গুন গুন
কাল ছিল ডাল খালি আজ ফুলে যায় ভরে