১
নিমগ্নরাত
এক স্বকরুণ কণ্ঠে ডেকে গেলে তুমি। লোকালয়-গ্রাম হতে কিছু দূরে একটি বিষাদী বালক মুক্তিযুদ্ধের গল্গ
বলে...বাবু অনেক দিনের পরিচিত স্বদেশ ছেড়ে কোন গাই- গ্যারামে যাবো, ঘরে পঙ্গু মেয়ে আর তিনবার তালাক প্রাপ্ত
বোন। আজকাল বন্ধুদের হিজলের গাছে আলেয়াভীতি অথচ ফড়িংয়ের পিপাসা বুকে নিয়ে বদলায় আপন
অস্তিত্বকালীন কয়েদীজীবন...
আগুন নিয়ে এখন খেলতে ভালোবাসি
আমি ভুল পথের পথিক হলেও জরাগ্রস্ত বৈরাগী নই
যৌনতায় কিনে রাখি নির্বাসিত প্রেম
নারীর অবিরাম আতাফলে নিমগ্নরাত...
২
আলোকিত সুজন
দূরন্তবালক-তোমার সংগ্রামমুখি জীবনে আত্মক্ষত নিয়েই ফুটিয়েছো-ডুবোজলের
আলোকিতফুল আর পে-ণ্ডুলামের গভীর মমতা বুকের খোড়লে রেখে উড়িয়ে
দিলে- ঘুমকাতুনী মেয়ের ভুল বানানে লেখা ডুবোমাছি স্মৃতি। ত্রিশূল তোমার বুকের মাঝে অপচয়ের ক্ষরণ মুখস্ত করে তবুও
তুমি বটবৃক্ষের বিষছায়ায় শান্তির ফাগুন পাঠিয়ে বুনোঘাসের চরণে রাখো আলোকিতভোর...
রোজ মান্দাসে ভাসে কাঙ্গালীজীবনের খুচরা খুচরা ভুল
তবু তুমি আমি আমরা মানুষ। ঝরাপাতার মত করে কেন তুমি কুচবরণের মেয়ে হবে...বেঁচে থাকার বহুল আস্ফালনে তুমি জন্মান্ধ দারোয়ান সাজোনি
কিংবা মুখোশের আড়ালকথনের পাগলীবটশ্বরী...বুনোনৃত্যের রকমারী চাঁদের
পিঠে চড়ে তুমি ক্রমাগত জ্বেলে যাও আলো...
৩
দীর্ঘশ্বাসী নদী...
কেমন ছিল আমাদের দুঃখ ভরা রাত কিংবা দিন
দূরে কোথাও মায়ের হৃদপিণ্ডে
ধরমের দ্রোহী আত্মা
শরীরের ভিতরে গুজে
গণিকা করে বাস
গলির পথে অচেনা পথিক
খুঁজে ফেরে হারানো দীর্ঘশ্বাস । দীর্ঘশ্বাসী নদী...